বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরপুরের আটিয়াতলী এলাকায় লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করছে দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবক। কিছুক্ষন পর দেলোয়ার হোসেনকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে পুলিশকে খবর দেয় ফজলুর রহমানের লোকজন। গতকাল বুধবার সকালে সদর উপজেলার ওই এলাকার ঠাকুর বাড়ির নতুন মসজিদের সামনে পূর্বশক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুইজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একইদিন দুপুরে হাসপাতালে ফজলুর রহমানকে দেখতে আসে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা করে তারা। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সদর থানার এসআই আবদুল আলীম, এএসআই গিয়াস উদ্দিন, পুলিশ সদস্য নয়ন ও মেহেদী হাসানসহ ৪ পুলিশ, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে যুবলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান, রুপম হাওলাদার ও ইকবাল হোসেনসহ ১০ যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশ।
হাসপাতাল, পুলিশ ও যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা মামলায় কয়েক দিন আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরেন। গতকাল বুধবার সকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানের ওপর হামলা চালায় দেলোয়ার হোসেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আহত দু’জনকে উদ্ধার করে ল²ীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে শহরের যুবলীগ নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে যান। এসময় দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করেন তারা। পুলিশ তাদের বাধা দিলে এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এসময় আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা এস আই আব্দুল আলীম, এ এস আই গিয়াস উদ্দিন, সদস্য নয়ন, মেহেদী, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন।
পরে হাসপাতালে পুলিশ ও শহরে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা (পশ্চিম) যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুর রহমান, সদর পূর্ব যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রুপম হাওলাদার, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ইকবাল হোসেন, যুবলীগ নেতা আজগর হোসেন, মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ উল্যাহসহ ১০জনকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০ টি মোটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে যায়। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমিসহ ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়। সামান্য ভুল বুঝাবুঝিতে নেতাকর্মীদের আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান, পূর্বশত্রæতায় আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন। দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে গেলে পাল্টা হামলার শিকার হয় পুলিশ। এতে ৪ পুলিশ আহত হয়। হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে হাসপাতাল ও শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।