Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে সিসিকের বকেয়া পাওনা ১০০ কোটি

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:২৪ পিএম

সিলেট নগরে গ্রাহকদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডসহ বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বারবার নোটিশ প্রদান স্বত্ত্বেও বিল পরিশোধ না করায় বকেয়া আদায়ে মাঠে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। বকেয়া বিল আদায়ে গঠন করা হয়েছে সিসিকের তিনটি টিম।

সিসিকসূত্রে জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাত হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৭কোটি টাকা, পানির বিলের বকেয়ার পরিমাণ ১২ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবত বকেয়ার পরিমাণ ২০ কোটি টাকা এবং বিলবোর্ড বাবত বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি টাকা। সিসিকের আয়ের এই চারটি মূল খাতেই বকেয়ার পরিমাণ ১০০কোটি তাকা হওয়ায় বকেয়া আদায়ে কঠোর হচ্ছে সিসিক।

বকেয়া বিল আদায়ে সিসিক মেয়র আরিফ বারবার গ্রাহকদের নোটিশ কিংবা হুশিয়ারি দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বকেয়া বিল জমতে জমতে পরিমাণ এখন পাহাড়সম-প্রায় ১০০কোটি টাকা। বকেয়া বিল আদায়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে তিনটি কমিটি। একটি কমিটির দ্বায়িত্বে আছেন সিসিকের সচিব মো. বদরুল হক, আরেকটিতে সিসিকের প্রধান প্রকোশলী নূর আজিজুর রহমান আর অন্যটিতে নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর।

অভিযানের অংশ হিসেবে বকেয়া বিলের বিরুদ্ধে বুধবার নগরীর লালদিঘিরপাড়, কাস্টঘর, এবং মহাজনপট্টি এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে মেয়র আরিফের নেতৃত্বে অভিযান চালায় সিসিকের প্রধান প্রকোশলী নূর আজিজুর রহমানের টিম। এসময় বিভিন্ন গ্রাহক এবং প্রতিষ্ঠানকে বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধে হুশিয়ারি করা হয় এবং মহাজনপট্টিতে একটি দোকানের বকেয়া বিল বাকী থাকায় নগদ ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাতে এতো বিশাল পরিমাণ বকেয়া থাকার কারণে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। নগরবাসী নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ করলে আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারব।

তিনি জানান এর আগেও বারবার কঠোর হুশীয়ারী দেওয়া সত্বেও অনেকেই বকেয়া বিল পরিশোধ করেননি। আর তাই বাধ্য হয়েই অভিযানে নেমেছেন তিনি। তিন জানান, দ্রুত বকেয়া বিল পরিশোধ করা না হলে এখন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাসহ বকেয়া বিল আদায় করা হবে।

তিনি আরো জানান, সিসিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তিনটি টিম গঠন করা হয়েছে। আজ থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিসিক

৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ