এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
ইন্টারনেটের অন্যতম পথিকৃত লরেন্স রবার্টস মারা গেছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। ইন্টারনেটের যে চার আবিষ্কারক ছিলেন
তাদের অন্যতম ছিলেন লরেন্স রবার্টস বা ল্যারি রবার্টস। রবার্টস ষাটের
দশকের শেষ দিকে মার্কিন অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সির (আরপা)
একটি অংশের দায়িত্বে ছিলেন। সেসময় তিনি আরপানেট নামের এক কম্পিউটার
নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ করেন।এই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা তৈরি এবং হার্ডওয়্যার ও
সফটওয়্যার পরীক্ষার জন্য প্রকৌশলীও নিয়োগ দিয়েছেন রবার্টস। বর্তমানে আমরা
যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি তার মূলে রয়েছে রবার্টসের ওই আরপানেট।রবার্টস
ছাড়াও ইন্টারনেটের অন্য তিন আবিষ্কারক হলেন বব কান, ভিন্ট সার্ফ এবং লেন
ক্লেইনরক।
রবার্টস পড়াশোনা করেছেন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। তার বাবা-মা
দুজনেই ছিলেন রসায়দবিদ। কিন্তু তিনি রসায়নের মতো বিষয়ে পড়াশোনা করতে
চাননি। কারণ, বিষয়টিকে তিনি অনেক পুরাতন ভেবেছিলেন।রবার্টস ইন্টারনেটের
মূল নেটওয়ার্ক কাঠামোর নকশা করেছিলেন এবং নোডগুলোর মধ্যে যেটা আদান
প্রদানের প্রক্রিয়া তৈরি করেছিলেন।তারই দেখানো পথে ১৯৬৯ সালে আরপানেটে
প্রথম চারটি কম্পিউটার যুক্ত করা হয়। পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও
অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এতে যুক্ত হওয়ায় এই নেটওয়ার্ক দ্রুত
বাড়তে থাকে।এর বাস্তবিক প্রয়োগের জন্য প্রথম দিকে যোগাযোগ বাড়াতে আরপানেট
ব্যবহারকারীদের উৎসাহ দিয়েছেন রবার্টস। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল
আরপানেট। এরপর বিস্তৃত ইন্টারনেট ব্যবস্থার একটি অংশ হয় এটি।এই বিজ্ঞানী
যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩৭ সালের ২১ ডিসেম্বর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।