বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ফেন্সিডিলসহ ৭ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলো : মো: ইমরান হোসেন (৩০), মো: মনির হোসেন (৩৫), মো: এজাজুল হক (৫৫), মো: পিয়ারুল ইসলাম (৩৫), মো: সজিব হোসেন (২৬), মো: দবির হোসেন (৩৩) ও মো: সুমন মিয়া (৩৭)। এসময় গ্রেফতারকৃতদের দখল থেকে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক, ৮২২ বোতল ফেন্সিডিল, ৯ টি মোবাইল ফোন এবং মাদক বিক্রির ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সূত্রে তারা জানতে পারে রাজশাহী থেকে একটি চালান মৌসুমী শাক-সবজি বহনকারী ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসছে। সেই খবরের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে র্যাব-১ এর একটি দল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার মাছিমপুর স্টেশন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মাদক চালান হস্তান্তরের সময় মাদকসহ ওই ৭জনকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা র্যাবকে জানায়, আসামী ইমরান হোসেন পেশায় একজন মোটর সাইকেল মেকানিক। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তারগাছ এলাকায় তার নিজস্ব মোটর সাইকেল গ্যারেজ আছে। সে গ্যারেজে কাজের পাশাপাশি মাদক ব্যবসা করে আসছে। দীর্ঘদিন যাবত সে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি মাদক সেবন করে বলে স্বীকার করে। মাদক সেবনের সূত্র ধরে ২০১৩ সালে রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনৈক টিপুর সাথে পরিচয় হয় এবং তার মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের অন্যতম সদস্য রানা এবং গ্রেফতাকৃত এজাজুল হক ও পিয়ারুল এর সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে একই সূত্র ধরে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের আরেক সদস্য গাইবান্ধার গ্রেফতারকৃত মনিরের সাথে পরিচয় হয়। বর্ণিত চারজন আসামী মূলত দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মাদক দ্রব্যের চালান সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে এসে ইমরানের নিকট হস্তান্তর করে বলে আসামীরা স্বীকার করে। মাদক দ্রব্যের চালান প্রাপ্তির সাথে সাথে আসামী ইমরান ঢাকাস্থ তার অন্যান্য সহযোগী গ্রেফতারকৃত সজিব, দবির, সুমনসহ উত্তরার রফিকুল ও আলমগীরের নিকট পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে। প্রতি মাসে গড়ে ৭/৮ টি চালান পেয়ে থাকে বলে গ্রেফতারকৃত ইমরান স্বীকার করে। ইমরান এর আগেও ফেন্সিডিলের একটি চালানসহ র্যাব-১ এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। দুই মাস কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে সে পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করে।
এছাড়া গ্রেফতারকৃত এজাজুল হক পেশায় একজন ট্রাক চালক এবং পিয়ারুল তার সহকারী। তারা উভয়ে রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনৈক রানার সহযোগীতায় মাদক দ্রব্যের চালান ট্রাকে লুকিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং ইমরানের কাছে হস্তান্তর করে বলে স্বীকার করে। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত মনির হোসেন গাইবান্ধা হতে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের হেল্পার। সে জনৈক ওয়াদুনের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে যাত্রীবাহী বাসের আড়ালে করে ঢাকায় এনে আসামী ইমরানের নিকট হস্তান্তর করে বলে জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সজিব, দবির, সুমন যথাক্রমে গার্মেন্টস সেক্টরে চাকুরী ও ব্যক্তিগত ব্যবসার আড়ালে পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তারা ইমরানের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য পাইকারী মূল্যে ক্রয় করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতরা সকলেই নিয়মিতভাবে মাদক সেবন করে আসছে বলে তারা জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।