রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পৌষের সোনালি সকালে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উচ্ছাসিত হয়ে ওঠবে কুমিল্লা জেলার ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫৪ জন শিক্ষার্থী। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি এবং এসএসসি দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনালের এসব শিক্ষার্থীরা নতুন বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার) নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই উৎসবে যোগ দিয়ে নতুন বই হাতে পেয়ে মাতোয়ারা হয়ে ওঠবে। নতুন বই হাতে পেয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষকে স্বাগত জানাবে শিক্ষার্থীরা। নতুন বই বিতরণের উৎসব সফল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা, উপেজেলা শিক্ষা অফিসগুলো।
বহুল আলোচিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একদিন পরই দেশজুড়ে শুরু হবে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ উৎসব। সেই উৎসবে কুমিল্লার জেলার সরকারি বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক স্কুল ও মাদরাসার প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হবে ২০১৯ বর্ষের সম্পূর্ণ পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে নতুন ৮৪ লাখ ২৮ হাজার বই। ইতোমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই সরবরাহ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কুমিল্লা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মজিদ জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জেলায় ৮০ ভাগ নতুন বই পৌঁছে গেছে। ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির যে কুড়ি ভাগ বই এখনো বাকি ছিল, তাও পর্যায়ক্রমে আসতে শুরু করেছে। আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসগুলোতে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে এ বছরও শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা জীবনের আরেকটি নতুন বছর শুরু করতে পারবে।
কুমিল্লা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর ও কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নতুন বছরের প্রথমদিন কুমিল্লা জেলায় মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির এক লাখ ৪০ হাজার ৭৮৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য ২০ লাখ ৭১ হাজার ৮৫টি, সপ্তম শ্রেণির এক লাখ ২৮ হাজার ৮৭৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১৮ লাখ চার হাজার ৩৬৭টি, অষ্টম শ্রেণির এক লাখ ২৪ হাজার ৮৯০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৫টি এবং নবম শ্রেণির এক লাখ ১৩ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০টি বই বরাদ্দ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আট লাখ ৮০ হাজার ৫৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৩৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭১৫টি বই বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও এসএসসি ভোকেশনাল দাখিলে পাঁচ হাজার ৪৫৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ২৬ হাজার ৭৮৬টি বই এবং এসএসসি ভোকেশনালের পাঁচ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৭১ হাজার ৮৯৫টি বই বরাদ্দ করা হয়েছে। কুমিল্লার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত মহিয়সী নারী প্রফেসর জোহরা আনিস বলেন, নতুন বইয়ের আনন্দ ধরে রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরো বেশি যত্নশীল হতে হবে। পড়ালেখা করে তারা প্রকৃত মানুষ হতে পারলেই সরকারের এ উদ্যোগ স্বার্থক হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।