পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখন দরজায় কড়া নাড়ছে। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো তাদের প্রার্থী মনোনয়ন ইতোমধ্যেই শেষ করেছে। পার হয়ে গেছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়সীমা। দলগুলোর জন্য প্রতীক বরাদ্দও হয়ে গেছে। নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে। এখন চলছে ক্ষণ গণনা। প্রার্থীরা যে যার এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন, কেউ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছে গত ১২ ডিসেম্বর । দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপলগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন। একই দিনে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করে ঐক্যফ্রন্ট নেতারাও আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন। দিন যত ঘনিয়ে আসবে সব দলের নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠবে হবে বলে সবাই আশা করছেন।
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতি জনসাধারণের আগ্রহের কমতি নেই। সবাই উৎসুক হয়ে আছে নির্বাচন কেমন হয় তা দেখার জন্য। একইভাবে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোও এ নির্বাচনী কার্যক্রমকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যদিও এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশি পর্যবেক্ষক খুব একটা আসবে বলে মনে হয় না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে। তবে, তারা দু’জন নির্বাচন বিশেষজ্ঞকে বাংলাদেশে রেখে গেছে নির্বাচনের হালহকিকত দেখা ও পরবর্তিতে অভিমত ব্যক্ত করার নিমিত্তে। যুক্তরাষ্ট্র একটি পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলে সংবাদ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মধ্যমগুলো জানিয়েছে। এছাড়া দেশীয় এনজিওগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে ফেলেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের ব্রিফিংও করেছে।
দীর্ঘদিন পরে দেশে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফলে এ নির্বাচনকে অনেকেই অত্যন্ত গুরুত্ববহ মনে করছেন। এ নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের রেকর্ড সৃষ্টিতে সক্ষম হবে। আর দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাও টানা তৃতীয়বার এবং মোট চারবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নজির সৃষ্টি করতে পারবেন। অন্যদিকে বিএনপি জয়লাভ করতে পারলে দীর্ঘ এক যুগ পরে রাষ্ট্রকক্ষমতায় আরোহনের সুযোগ পাবে। ফলে উভয় পক্ষের কাছে এ নির্বাচন মর্যাদার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। তবে, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার এবং দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি আদায় ব্যতিরেকেই বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন শতভাগ অবাধ সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিভিন্ন মহলে, যদিও একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সবারই কাম্য। তা কতদূর বাস্তবে রূপ নেবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এমুহূর্তে।
অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, শেষ পর্যন্ত নিবার্চন হয়তো শান্তিপূর্ণ নাও থাকতে পারে। কেননা, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর গত কয়েকদিনে বিএনপির ওপর শাসকদলের কর্মীদের হামলাকে অশুভ আলামত হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী জনসংযোগ কার্যক্রম চালানোর সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তার গাড়িবহরে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। হামলাকারীরা বহরের ছয়টি গাড়ি ভাংচুর করেছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। ঠিক তার পরদিন ঢাকায় হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস। ওই দিন দুপুরে কমলাপুর বৌদ্ধ মন্দির ও বাসাবো এলাকায় দুই দফা হামলা করা হয় তার গাড়ি বহরের ওপর। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ক্ষমতাসীনদের বাধা দেয়ার খবর এসেছে। কোথাও কোথাও ভাংচুর করা হয়েছে বিএনপি অফিস বা নির্বাচনী ক্যাম্প।
যারা দেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচনের প্রত্যাশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, তাদের কপালে ইতোমধ্যেই ভাঁজ পড়েছে। এসব ঘটনাকে তারা অশনি সঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন। এসব ঘটনা শেষ পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো সহিংসতা ডেকে নিয়ে আসে কিনা তা ভেবে অনেকেই চিন্তিত। অথচ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার প্রত্যয় অনেকবার ব্যক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও বিরোধী দলকে এই বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, নির্বাচন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনাবলী সেসব আশ্বাস বা প্রত্যয়ের প্রমাণ দেয় না। মির্জা আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় সিইিসি লজ্জিত ও বিব্রত বলে জানিয়েছেন। তবে, তার বিব্রত হওয়াকে কেউই যথাযথ বলে মনে করছেন না। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যেহেতু তিনি ও তার কমিশন রয়েছেন, সেহেতু এ সময়ে সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার দায় তাদের ওপরই বর্তাবে। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে ঘটনার পর বিব্রত বা লজ্জিত হয়ে কোনো লাভ নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বহুবার বলেছেন যে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য যতটা কঠোরতা অবলম্বন করা দরকার সেটা তারা করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। গত কয়েক দিনে সংঘটিত ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি। সবচেয়ে অভিনব ঘটনা ঘটেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে। সেখানে গত ৭ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন বিএনপি মনোনীত প্রর্থী ও দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকা দিয়ে নির্বাচনী জনসংযোগে যাওয়ার সময় একদল সশস্ত্র যুবক তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এ হামলার জন্য কার্যত তার মনোনয়ন প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি নেতা শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে দায়ী করেছেন। হামলার সময় সেখানে কোনো পুলিশ ছিল না। প্রত্যক্ষদর্শীরাও বলেছেন একই কথা। অথচ ঘটনার দুই দিন পরে সিরাজদিখান থানা পুলিশ স্ব-প্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করেছে, যাতে বিএনপির দুই গ্রুপের তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর কাণ্ড হলো, ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ উপস্থিত না থাকলেও মামলার এজাহারে ছয়জন পুলিশের আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। পুলিশের এ অলৌকিক আহত হওয়ার পেছনে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তা এখন পরিষ্কার। কেননা, মামলার আসামি হওয়ার পর উল্লিখিত নেতাকর্মীরা এখন এলাকাছাড়া। বাগেরহাট-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম এ সালাম গত ১২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন, শাসকদল ও পুলিশের আচরণে নির্বাচনের পরিবেশ আর অবশিষ্ট নেই। শাসক দলের কর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, পাশাপাশি পুলিশ গ্রেফতার করছে। ফলে নেতাকর্মীরা এলাকায় থাকতে পারছে না। একই অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেছেন, যেভাবে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে এবং আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা করছে, তাতে নির্বাচনী মাঠে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার। এভাবে কায়দা-কৌশল করে যদি নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দূরে রাখা হয়, তাহলে কথিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দেখা যে কখনোই মিলবে না, তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে নির্বাচনের প্রধান দুই পক্ষের মধ্যে বাগযুদ্ধ চলছেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অভিযোগ করছে, বিএনপি নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে নানা ধরনের অভিয়োগ করছে। অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপি ও সন্ত্রাসের নীল নকশা আঁটার অভিযোগ আনা হয়েছে সরকারি দলের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগকে অনেকে আমাদের দেশের গতানুগতিক রাজনৈতিক কালচারের অংশ বললেও সন্দেহ থেকেই যায়। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কতটা সফল হবে বা তার সে অভিপ্রায় আছে কিনা তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে।
এসব বিষয় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে কথা বলতে গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গিয়েছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকারি দল যেভাবে সন্ত্রাস করছে এবং পুলিশ যেভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে, তাতে নির্বাচনী এজেন্ট পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামিন আছে এমন কর্মীদেরও পুলিশ গ্রেফতার করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, অসহায় বলেই নির্বাচন কমিশন বিব্রত হয়েছে।
সংঘটিত ঘটনাবলী যে শুভ আলামত বহন করছে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নির্বাচনী মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রয়োজনীয়তা সবাই অনুভব করছেন, বর্তমানে তা অনুপস্থিত। তফসিল ঘোষণার পর কাউকে গ্রেফতার করা হবে না- এমন একটি কথা নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল। তাছাড়া প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তা সত্তে¡ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেফতার অব্যাহত আছে। গত ১১ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস দুলুকে। নির্বাচন আরো ঘনিয়ে এলে পেন্ডিং মামলায় এ ধরনের গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিএনপি নেতারা।
একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সবার কাম্য। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও ইতোপূর্বে বলেছেন আর কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন তিনি চান না। একটি অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন তিনিও চান। অন্যদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব যার কাঁধে, সেই নির্বাচন কমিশনও প্রতিনিয়ত বলে চলেছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যা যা দরকার তার সব ব্যবস্থা সে করবে। এমন কি মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের নিবাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এই বলে হুশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে যে, কোনো দল বা প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে সবাই আশ্বস্থ হলেও নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের যেসব ঘটনা ঘটছে তাতে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ থাকবে কিনা এ সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন। তবে সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু। নির্বাচন কমিশনের ভ‚মিকা হতে হবে পক্ষপাতহীন ও দৃঢ়। নির্বাচন কমিশন যদি মেরুদণ্ড শক্ত করে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করতে পারে, তাহলে যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় উন্মুখ হয়ে আছে দেশবাসী তা হয়তো সোনার হরিণ হয়েই থাকেবে।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।