পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সুষ্ঠু নির্বাচন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটের নিরসনসহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন বিরোধীরা কর্মসূচি পালন করছে। এসব দাবিতে আন্দোলন জোরালো করতে বিরোধী দলগুলো এবার ভিন্ন কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যজোট ও ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন কার্যত ব্যর্থ হওয়ায় এবার আর জোটবদ্ধ আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে না তারা। দলগুলো এবার অভিন্ন দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকার বিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এরই মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটসহ রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করছে। বিএনপির পাশাপাশি সাত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ ও এসব দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করছে। গত ৮ অক্টোবর থেকে ঢাকার বিভিন্ন থানায় সমাবেশের মধ্যদিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেছে। এ ছাড়াও পরবর্তীতে ৮ বিভাগেও সভা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাদের এই কর্মসূচি যুগপৎ আন্দোলনের প্রাথমিক সূচনা বলা যায়।
গণতন্ত্র মঞ্চের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুগপৎ আন্দোলনের একটি রূপরেখা তারা চূড়ান্ত করেছে। এতে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনই হলো মূল দাবি। আগামী মাসের মধ্যে বিএনপি ছাড়াও সরকারবিরোধী অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে বৃহত্তর যুগপৎ আন্দোলনে কর্মসূচি শুরু করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। বর্তমান সরকারের পতনসহ দেশের শাসন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তনের লক্ষে গণতন্ত্র মঞ্চ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করেছে। নভেম্বর মাসেই বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে তারা যুগপৎ আন্দোলনে মাঠে নামবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষনেতা নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে সবাই একমত। এ ছাড়া অন্যান্য কিছু বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে নভেম্বর মাসেই বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত বলা যায়। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা করবো খুব শিগগির। যেটা ৯০ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে করেছি। আমরা সবাই মিলে একই দিনে একই কর্মসূচি দেব। সমাবেশ করবো, মিছিল হবে। আর সবগুলো মিছিল গিয়ে একসঙ্গে মিলিত হবে। সেখানে সবার সেøাগান থাকবে একটাই। আমাদের আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হতে পারে। আন্দোলনের একটি রূপরেখা তৈরী হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সব ঠিক করা হবে।
মান্না বলেন, বর্তমানে বিএনপি বিভাগীয় শহরে সে সমাবেশ করছে তাতে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই জোয়ার আর থামানো যাবে না। যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে এই গণজোয়ারকে গণঅভ্যুাত্থানে রূপ দেওয়া হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষনেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা এই সরকারের পতন চাই। পাশাপাশি স্বৈরাচারী শাসন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন চাই। তাই আমরা বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা ফাইনাল করবো। আর তার আলোকেই আমরা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবো।
গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষনেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ইনকিলাবকে বলেন, এই সরকারের পতন ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দালনের বিষয়ে এরই মধ্যে আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি। আমাদের এই ঐক্যকে জনগণের বৃহত্তর ঐক্যে নিয়ে যেতে কাজ করছি। আমরা আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে কাজ করছি। বিএনপির সঙ্গে আমাদের প্রথম ধাপের আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগির আবারও বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবো এবং যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে জণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের নানান বাধা পেরিয়ে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসব সমাবেশে অংশ নিচ্ছে। আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে এই গণজাগরণ গণআন্দোলনে রূপ নেবে, আর তাতে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।