Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সঙ্কটে ২০ দলীয় জোট

রফিক মুহাম্মদ | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১২০ দিন পর এমপিদের শপথগ্রহণ নিয়ে সঙ্কটে থাকা বিএনপি এবার ২০ দলীয় জোট নিয়ে মহাসঙ্কটে পড়ে গেছে। এক যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির প্রতি অবিশ্বাস ও সমন্বয়ের অভাবে জোটে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। চলছে মান-অভিমান, টানাপোড়েন। ইতোমধ্যেই ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বের হয়ে গেছে বিজেপি। এই বেরিয়ে যাওয়ার মধ্যে জোটের শরিকদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আর অসন্তোষের বহি:প্রকাশ ঘটছে। কেউ জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন, আবার কেউ জোট ছাড়ার আল্টিমেটাম দিচ্ছেন। তবে অধিকাংশ শরিকদলগুলোও চুপচাপ-নিষ্ক্রিয়। সব মিলিয়ে ২০ দলীয় জোট চরম সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। জোটের শরিকদের অভিযোগ বিএনপি এখন অতিমাত্রায় ড. কামালের ঐক্যজোট কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এ জন্য ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেন না। ফলে ২০ দলীয় জোট কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে ২০ দলীয় জোটের এক শরীক দলের নেতা বলেন, বেগম জিয়ার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ২০ দল। নেত্রী জেলে থাকায় দলের সিনিয়র নেতারাই জোটের নেতৃত্ব দেবেন। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচন উপলক্ষে জনবিচ্ছিন্ন ড. কামাল হোসেনকে ভাড়া করে এনে ‘নেতা বানিয়ে’ ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা আরো বলেন, ড. কামাল হোসেনই ২০ দলীয় জোটকে অবহেলার কারণ। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর বিএনপি এখন ড. কামালকে খুশি রাখতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিল্লি তোষণে ব্যস্ত। নির্বাচনের আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতীয় মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে যেভাবে দিল্লির আনুগত্য প্রকাশের প্রয়াস পান তাতে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী মননের নেতারা আহত হন। ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী আর আ স ম রবকে দিয়ে মোদীকে খুশি রাখা যায়; তবে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের রাজনীতির চর্চা হয় না। ২০ দলীয় জোটের শরীক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপি যে নিয়মে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয় করছে এতে অনেক দুর্বলতা আছে। জোটের সমন্বয়ক বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ বিষয়ে বলেন, ২০ দলীয় জোটে অনেকের অনেক ক্ষোভ হতাশা থাকতে পারে। এগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা সম্ভব। দু’একদিনের মধ্যে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক ডেকে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিগুলো দূর করে ফেলতে পারব বলে আশা করি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে ২০ দলীয় জোটে টানাপোড়েন শুরু। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর বিএনপি ২০ দলীয় জোটের শরিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করছে না, বিএনপির কাছে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের গুরুত্ব কমে গেছে এমন অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছে। এবার এই অভিযোগ এনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ২০ দলীয় জোট ছেড়েছেন। গত সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে আন্দালিব রহমান পার্থ ইনকিলাবকে বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর থেকে ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ে। ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সাথে পরামর্শ ছাড়াই ঐক্য্যফ্রন্টের সাথে বৈঠক করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিএনপি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০ দলীয় জোটের সবার সম্মতিক্রমে এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের দুইজন এবং বিএনপির সম্মতিতে তাদের চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেয়ায় দেশবাসীর মত আমারাও হতবাক। শপথ নেয়ার এই সিদ্ধান্তের সাথে বিএনপি ছাড়া ২০ দলের অন্য কোন দলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ সব কারণে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) মনে করে এই শপথের মাধ্যমে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এমতাবস্থায়, ২০ দলীয় জোটের বিদ্যমান রাজনীতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বিজেপি ২০ দলীয় জোটের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০ দলীয় জোটের শরিক দল লেবার পার্টি গতকাল জোট ছাড়ার এক আল্টিমেটাল দিয়েছে। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এ বিষয়ে ইনকিলাবকে বলেন, আগামী ২৩ মে’র মধ্যে ২০ দলীয় জোটকে কার্যকর করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করলে ২৪ মে আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। আমরা বলেছি ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে ২০ দলীয় জোট কার্যকর করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ড. কামাল হোসেন লাভবান হলেও বিএনপি তার পথ হারিয়ে বিপথগামী হয়েছে। ২০ দলীয় জোটের যে আদর্শ তা থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে। দলের চেয়ারপার্সন প্রায় দেড় বছর মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক তাকে মুক্ত করার জন্য কোন আন্দোলন কর্মসূচি নেই এটা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের চরম ব্যর্থতা। তাই আমরা মনে করি ২০ দলীয় জোট কার্যকর করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। অন্যতায় এ জোট শুধু কাগজে-কলমে থেকে লাভ কি।
২০ দলীয় জোটের চলমান সঙ্কট সম্পর্কে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপি যে নিয়মে ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে বা সমন্বয় করছে এতে অনেক দুর্বলতা আছে। আমাদের আবেদন থাকবেই ২০ দলীয় জোট পুর্নগঠন করে সবাই মিলে ঠান্ডা মাথায় আলাপ আলোচনা করে এই সঙ্কট থেকে উত্তোরণের উপায় বের করুন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং আমাদের দল বিএনপির কোটি কোটি নির্যাতিত নেতাকর্মীর অনুভূতির সাথে একাত্ম। ঐক্যফ্রন্ট একমাত্র সমাধান নয়। সেখানেও ভুলক্রটি আছে। সেটাও সংশোধনের দাবি রাখে।
এ সম্পর্কে জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনিযর যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে মাতামাতি করছে। ২০ দলীয় জোট এখন অবহেলিত। কার্যত জোট এখন স্থবির অকার্যকর। এমপিদের শপথগ্রহণ নিয়ে সবার মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ আছে। বিএনপি কৌশলে ভুল করেছেন। তারা কখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। আবার কখনো শরিকদের অবজ্ঞা করেন। তারা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যদি সবাইকে নিয়ে বসতেন তাহলে আলোচনায় একটা পথ বের হয়ে আসতো। সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত যদি ভুল হয়ে থাকে এবং যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক তাহলে সেটা সবাই মিলে নিতে পারতেন। এখন সবার মধ্যে অসন্তোষ অবিশ্বাস। আমাদের নেতা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ সবার আগে আমাদের অবস্থান জানিয়েছেন। তারপরও আমরা এখন পর্যন্ত ২০ দলে আছি। আমাদের দলীয় প্রধান দেশের বাইরে থেকে আজ (মঙ্গল) এসেছেন। দু’একদিনের মধ্যে আমরা এসব বিষয় নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
বিএনপির অবহেলা ও অবজ্ঞার কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ২০ দলের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়াম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু জোট ছেড়ে চলে যান। তবে তার দলের একাংশের নেতা ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে এনপিপি’র চেয়ারম্যানের স্বীকৃতি দিয়ে জোটে রাখা হয়। একইভাবে ইসলামী ঐক্য জোটের অন্যতম নেতা আবদুল লতিফ নেজামীও ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যান। সেখানেও ইসলামী ঐক্যজোটের অন্য একটি গ্রæপ ২০ দলের শরিক হিসাবে রয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ মুসলিম লীগও বিভক্ত হয়েছে। একটি গ্রæপ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বড় বোন জোবায়দা কাদের চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে নতুন কমিটি ২০ দলীয় জোটে আছে। ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যায় শেখ আনোয়ারুল হকের ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী-ন্যাপ)। এরপর গাইবান্ধার আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ‘ভাসানী-ন্যাপ’ নামে নতুন দল দাঁড় করিয়ে সেটিকে ২০ দলে রাখা হয়। এ ছাড়া ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণিও ২০ দলীয় জোট ছেড়ে চলে যান এবং একটি গ্রুপকে ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে রাখা হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের সঙ্কট নিয়ে জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান ইনকিলাবকে বলেন, জোট ছাড়ার বা থাকার সিদ্ধান্ত পার্থ ভাই বা অন্য যে কোনো দলই আলাদাভাবে নিতে পারে। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে ক্ষোভ হতাশা থাকতে পারে। তবে সব কিছু আলোচনা করে সমাধান সম্ভব। আমি আমার সিদ্ধান্তের বিষয় এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না। কারণ আমি এখন সিয়াম সাধনায় আছি। রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে নেব।
২০ দরীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুল করিম এ বিষয়ে ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপিতে এখন যা কিছু হচ্ছে তা সঠিক নেতৃত্বের অভাবে হচ্ছে। আমরা এর অনেক কিছু সমর্থন করি না। আমরা চাই ২০ দলীয় জোটকে কার্যকর করে সঠিক ভাবধারায় ফিরে আসুক। বিএনপি যে ভুল পথে গেছে তা থেকে ফিরে আসুক। ২০ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট থাক। ২০ দলীয় জোটের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর ২০ দলীয় জোটের সাথে বিএনপির বিমাতা সুলভ আচরণে সব দলই ক্ষুব্ধ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর একবারই বৈঠক হয়েছে। তবে ২০ দল নিয়ে এখন কোনো কর্মসূচি নেই। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সময় সময় বৈঠক হচ্ছে। পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে একের পর এক কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে। এতে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে।
বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদে অংশ নেয় দুই জোটকে সঙ্গে নিয়েই। দীর্ঘদিনের জোট ২০ দলকে হাতে রেখে গত বছরের অক্টোবরে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে আহবায়ক করে পাঁচটি দলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে জাতীয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনেও এই নতুন জোটের নামেই বিএনপি ও ২০ দল অংশ নেয়। তবে ২০ দলকে ৪০টি আসন এবং ঐক্যফ্রন্টকে ১৯টি আসনে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এই আসন বণ্টন নিয়েও ২০ দলীয় জোট ক্ষুব্ধ হয়। ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ ও অন্যান্য সমমনা ইসলামী দলের কাউকে মনোনয়ন দেয় হয়নি।
এ বিষয়ে সম্প্রতি ২০ দলের শরিক লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে আসা ঐক্যফ্রন্টের অনেক নেতা সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। কোথায় বসে কত টাকা নিয়েছেন, তাও তাঁর জানা বলে দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে বেশি এগোচ্ছে। এই মুহূর্তে ২০ দলের কোনো তৎপরতা নেই। খেলাফত মজলিসের এই নেতা জানান, ২০ দল নামে মাত্র আছে। তারা এখন নিজেদের দল নিয়ে কাজ করছেন।
২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা চারদলীয় জোট কলেবরে বেড়ে ১৮ দলীয় জোট হয়। বিএনপি ছাড়া সে সময় জোটের শরিক দলগুলো ছিল জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি), লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ ভাসানী, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, পিপলস লীগ ও ডেমোক্র্যাটিক লীগ। পরে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও সাম্যবাদী দলের একাংশ এই জোটে যোগ দিলে তা ২০ দলীয় জোটে পরিণত হয়। তবে দুই বছরের মাথায় মহাসঙ্কটের মুখে পড়ে ২০ দল।



 

Show all comments
  • মনিরুজ্জামান ৮ মে, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    একজন বি এন পি কর্মি হিসেবে আমি মনে করি বি এন পি কে সবার আগে ঐক্য ফ্রন্ট ছাড়তে হবে।ড. কামালের মত ব্যেক্তিরা কখনও মেডামের মুক্তির জন্য কিছুই করতে পারবে না
    Total Reply(0) Reply
  • Amin Ruhul ৮ মে, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    আন্দালিব রহমান (পার্থ) এর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, কামাল সাথে থাকলে বিএনপি হারিয়ে যেতে বেশী সময় লাগবে না?
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Akter ৮ মে, ২০১৯, ১:১৯ এএম says : 0
    পার্থ ভাই বিশ বছর যেই জোটের সাথে সেই বি এন পি কে বিপদে রেখে আপনি যেতে পারেন না
    Total Reply(0) Reply
  • নাসির ৮ মে, ২০১৯, ১:২০ এএম says : 0
    ২০ দলীয় জোট কার্যকর করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। অন্যতায় এ জোট শুধু কাগজে-কলমে থেকে লাভ কি ?
    Total Reply(0) Reply
  • মিনার মুর্শেদ ৮ মে, ২০১৯, ১:২০ এএম says : 0
    অতিসত্তর ২০ দলীয় জোটের একটি বৈঠক করা দরকার বলে আমি মনে করি।
    Total Reply(0) Reply
  • শাহে আলম ৮ মে, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
    বিএনপির এই ক্রান্তিকালে জোটের দলগুলোর উচিত বিএনপির পাশে থেকে তাদেরকে পরামর্শ দেয়া
    Total Reply(0) Reply
  • রিফাত ৮ মে, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
    আমরা চাই ২০ দলীয় জোটকে কার্যকর করে সঠিক ভাবধারায় ফিরে আসুক। বিএনপি যে ভুল পথে গেছে তা থেকে ফিরে আসুক। ২০ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট থাক। ২০ দলীয় জোটের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

২৪ নভেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ