পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির ৬ এমপি শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়া তো দূরের কথা আশপাশ দিয়ে হাটলেও ক্ষমা পাবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকবেন আর আমরা সংসদে গিয়ে মজা নেব, শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করবো এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। আমি বিশ্বাস করি, যারা জয়লাভ করেছে তারা এই সংসদে যাওয়া তো দূরের কথা তার আশপাশ দিয়েও হাটবে না। আর এমন ব্যক্তি বিএনপিতে আছে কিনা আমার জানা নাই। যদি থাকে যথাসময়ে যথাযথ উত্তর তাদের জন্য অপেক্ষা করছে, ঘরে-বাইরে-রাস্তায় সব জায়গায়। সংসদের আশপাশ দিয়ে হাটলে দলীয় নেতাকর্মীদের কথা বাদই দিলাম দেশের ১৬ কোটি মানুষ তাদেরকে ক্ষমা করবে না। গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ছয়টি আসনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থীরা। তারা হলেন- বগুড়া-৬ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ থেকে উকিল আবদুস সাত্তার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ থেকে আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে জাহিদুর রহমান এবং বগুড়া-৪ আসন থেকে মোশাররফ হোসেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আজকে সংসদ সংসদ বলা হচ্ছে, কিসের সংসদ? যেখানে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই, যেখানে ২৯ ডিসেম্বর বিকাল থেকে ফজরের আজান পর্যন্ত সব শেষ, ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা অপেক্ষা করে নাই। ২৯ তারিখ দিবাগত রাতে নির্বাচন হয়েছে, ৩০ তারিখের নির্বাচন তো বাকি রয়েছে। এই নির্বাচনটা কবে হবে সেটা জনগণ দেখবে। নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, আমি বলেছি, এখনও বলছি, ৩০০ আসনে কেউ জয়লাভ করে নাই, কেউ পরাজিত হয় নাই। বিএনপি ৩০০ আসনে পরাজিত হয় নাই। জনগণ যেখানে ভোট দেয় নাই সেখানে জয়-পরাজয়ের হিসাব কে করবে? জনগণ নির্ধারণ করে জয়-পরাজয়। আমরা পরাজিত নই। যারা আছে তারা রাতের অন্ধকারে এই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তা-ব্যক্তিরা মনের মতো করে সারা রাত জনগণের ভোট চুরি করেছে। সুতরাং এই চুরিকরা ভোটের ফলাফল জনগণ কখনও মানতে পারে না।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, চোখ ধাঁধানো বড় বড় প্রজেক্ট সামনে রেখে যারা টাকা লুটপাট ও বিদেশে পাচার করে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেখবেন বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন জায়গায় আছে। আজকে দেশে একটা নীরব অভাব চলছে। সেই অভাব চলছে মধ্যবিত্ত পরিবার এবং ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে। আজকে ব্যাংকে গেলে টাকা পাওয়া যায় না, ব্যাংকে টাকা নাই, তার কোনো হিসাবও নাই। এই দেউলিয়া অর্থনীতি দিয়ে বেশি পথ চলার সুযোগ তাদের নাই। আর গণতন্ত্রের পথ পরিহার করে কেউ কোনো দিন রেহাই পেয়েছে তার ইতিহাস আমাদের জানা নাই। এই অন্যায়-অপকর্মের মিছিল দিন দিন বাড়ছে, অবশ্যই এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার অবশ্যই হবে। নেতাকর্মীদের খালেদা জিয়ার মতো আপোষহীন মনোভাব নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করে আগের দিন ভোট বাক্স ভর্তি করে জোর করে সেদিন আওয়ামী লীগের নির্বাচনে তাদের রায় ঘোষণা করেছেন। এই সরকার অবৈধ, এই অবৈধ সরকারের অধীনে আমাদের ছয়জন এমপি কীভাবে যে নির্বাচিত হয়েছে? আমরা জানি না। যেহেতু এদেশে ভোট হয় নাই। এই অবৈধ সংসদে গিয়ে বৈধতা দেব না-এটাই হলো বিএনপির সিদ্ধান্ত।
খালেদা জিয়ার মুক্তি প্যারোলে নয় মন্তব্য করে বলেন, কোনো প্যারোল নয়, মধ্যরাতের কোনো আপোষ-রফার মাধ্যমে দেশনেত্রী মুক্ত হতে পারেন না। আপোষ বলে কোনো শব্দ উনি শেখেন নাই, খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী, উনি কখনও আপোষ করতে পারেন না। আমাদের নেত্রী আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়ে আসবেন। মানববন্ধনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য দেননি।
মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে এবং সেলিম মিয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহিম, নাদিম চৌধুরী, জাকির হোসেন খান, ফারুক পাটোয়ারী, এনডিপির সভাপতি আবু তাহের প্রমূখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।