পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
গত রবিবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন উপলক্ষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দু:খ করে বলেছেন, দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন দুর্নীতি দেশের সকল উন্নয়নমূলক কাজের প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে। দুদক চেয়ারম্যানের মন্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে নিলে একথাও স্বীকার করে নিতে হয়, তিনি তাঁর উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। এবং তাঁর এ ব্যর্থতার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশবাসীকে।
দুদক চেয়ারম্যানের মন্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে নিলে একথাও তাঁকে স্বীকার করে নিতে হয় যে, তিনি (দুদক চেয়ারম্যান) তার উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়ার ফলেই এমনটা ঘটেছে ও ঘটছে। সেক্ষেত্রে সরকারের উপর দায়িত্ব বর্তায় ব্যর্থ এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরও তাকে সংশ্লিষ্ট পদে রেখে জনগণকে হয়রানির মুখে নিক্ষেপ করা। সরকার নিশ্চয়ই তা স্বীকার করবেন না। কারণ সরকার তো একটানা দাবী করে চলেছেন, দেশের ও দেশের জনগণের অকল্যাণ হয় এমন কোন কাজ তারা কখনও করেন না।
সরকার তথা সরকার-প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরেকটা কথা প্রায়ই বলেন, দেশের মানুষ ভোট দিয়েছিল বলেই ক্ষমতায় এসেছি। ভবিষ্যতে তারা ভোট না দিলে আমরা ক্ষমতায় আসব না। এ নিয়ে আমার কোন দু:খ নেই। একথা তিনি বলেছেন নিশ্চয়ই আসন্ন নির্বাচনকে উপলক্ষ করে। তবে তিনি যে বলেছেন, দেশের মানুষ ভোট দিয়েছিল বলে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন, একথাটা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। তিনি এমন এক নির্বাচনের মারফৎ ক্ষমতায় আসেন, যে নির্বাচনকে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি নীতিগত কারণে বয়কট করায় তা কার্যত পরিণত হয়ে পড়েছিল নির্বাচনী প্রহসনে।
বিষয়টা খোলাসা করতে একটু অতীত স্মৃতিচারণ প্রয়োজন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের স্মরণ থাকার কথা, বাংলাদেশের ইতিহাসে একদা একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয়ক্ষমতা দখল করে বসেছিলেন তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তখন সেই ক্যুর প্রতি সমর্থন দান করে দুনিয়াকে অবাক করে দেন দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। দেশের রাজনৈতিক মহলের ধারণা এমন অকল্পনীয় ঘটনা সম্ভব হয়েছিল হয়ত এই বিচেনায় যে, সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত হওয়া ঐ নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি।
এরপর দেশে শুরু হয় সুদীর্ঘ একটানা জেনারেল এরশাদের স্বৈরশাসন। পাশাপাশি চলতে থাকে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের এরশাদবিরোধী আন্দোলন। আওয়ামী লীগ প্রথম দিকে দীর্ঘ দিন এসব আন্দোলন থেকে দূরে সরে থাকে। ততদিনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে একটানা নেতৃত্ব দিয়ে আপোষহীন নেত্রী হিসাবে দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তাঁর এই জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যায় পরবর্তী নির্বাচনে। এদিকে দেশে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠার পর এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগও এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে যোগদান করে। পরবর্তীকালে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি নতুন নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একমত হয়। উভয় দল এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার উদ্দেশ্য এ প্রশ্নেও একমত হয় যে, এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে।
যেমনটা আশা করা গিয়েছিল, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে এক পর্যায়ে বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, ভোটে হেরে গিয়ে এরমধ্যে কেউ যেন আবার কারচুপি আবিষ্কার না করে। পরে ভোট গণনা শেষ হলে যখন জানা গেল, আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিএনপি, শেখ হাসিনা অবলীলাক্রমে বলে ফেললেন, সু² কারচুপি হয়েছে। তবে তাঁর এ স্ববিরোধী উক্তিকে সংশ্লিষ্ট কেউ গুরুত্ব না দেওয়ায় স্বাভাবিক নিয়ম মোতাবেক বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হল। এবং শেখ হাসিনা হলেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী। বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান মন্ত্রীত্বের মেয়াদ শেষ হলে প্রধানত শেখ হাসিনার দাবীর মুখেই দেশের সকল জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এই মর্মে বিধান রেখে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থা অত্যন্ত বাস্তব প্রমাণিত হয়। এই ব্যবস্থাধীনে দেশে বেশ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে দেশের দুই প্রধান দল পালাক্রমে পর পর বিজয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ লাভ করে। দু:খের বিষয় কিছু নেতার অতিরিক্ত ক্ষমতাক্ষুধা এই সুন্দর ব্যবস্থাটিকেও পচিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার প্রধান মন্ত্রীত্বের আমলে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবর্তে নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘোষণা শাসক দলের সঙ্গে বিএনপির অতীত সমঝোতার সুস্পষ্ট লংঘন অভিযোগ এনে বিএনপি এই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিলে সে নির্বাচন বাস্তবে হয়ে পড়ে নির্বাচনী প্রহসনে। বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা তো দূরের কথা, শাসকদলের অনেক নেতা-কর্মীও সে নির্বাচনে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার গরজ হারিয়ে ফেলেন। কারণ তারা জানতেন তারা ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে না গেলেও তাদের ভোট দানের ব্যবস্থা দলের পক্ষ থেকে ঠিকই করা হবে।
বাস্তবে হয়ও সেটাই। ভোট কেন্দ্রে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বয়কট-জনিত অনুপস্থিতির সুযোগে শাসক দলের অল্পসংখ্যক নেতাকর্মীরাই ইচ্ছামত দলীয় প্রার্থীদের ব্যালট-পত্রে সীল মেরে তাদের পক্ষে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা অকল্পনীয়ভাবে বাড়িয়ে দেখানো নিশ্চিত করেন। ফলে শাসক দলের প্রার্থীদের পক্ষে বিপুল ভোট বিজয় নিশ্চিত হয়, যদিও ভোট দানের নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশে ভোট কেন্দ্র ছিল প্রায় ফাঁকা, জনশূণ্য। এভাবে শাসক দলের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী ঘোষিত হলেও পরদিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে যেসব সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, তাতে ভোটদানের প্রকৃত চিত্র ফাঁস হয়ে পড়ে। একারণে জনগণ এই নির্বাচনের নাম দেয় ভোটারবিহীন নির্বাচন। বর্তমানে যে সরকার দেশ শাসন করছে, তা এই ভোটারবিহীন নির্বাচনেরই ফসল।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে বক্তব্য অতীতে জনগণ ভোট দিয়েছিল, তাই তারা ক্ষমতা এসেছেন সে বক্তব্যও অসত্য প্রমাণিত হয়ে পড়ে। কারণ দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দল (বিএনপি) কর্তৃক বর্জিত হওয়ার ফলে দেশের জনগণও এ নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল এবং জনগণের ভাষায় তা বাস্তবে হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভোটারবিহীন নির্বাচনী প্রহসনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা লক্ষ্য করেননি তা নয়। তবে তাতে তিনি লজ্জা বা অসম্মানবোধ করেননি। জাতীয় সংসদে তিনি ভাষণদান কালে এক পর্যায়ে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে এক দিক দিয়ে ভালই করেছে। সংসদে তাদের আবোল তাবোল বক্তব্য শুনতে হচ্ছে না।
সংসদে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য সম্বন্ধে যাদের এমন ধারণা, তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে আদৌ বিশ^াসী কিনা। সে প্রশ্ন উঠবে অনিবার্যভাবে। কারণ গণতন্ত্রে বিরোধী মতামতকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হয়। এর কারণ মানুষ সাধারণত নিজের ভুল নিজে বুঝতে পারে না। গণতন্ত্রে যেহেতু বিরোধী মতামতকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী দলের বক্তব্যের সাহায্যে মানুষ নিজের ধারণার ভাল-মন্দ সবদিক যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগে নিজের ভুল সম্বন্ধে সচেতন হবার সুযোগ পেয়ে নিজের ভুল সংশোধনের সুযোগ লাভ করে। নিজের ভুল সংশোধন তথা আত্মসংশোধনের সুযোগ লাভ করে নিজেকে উন্নত করে তোলার সুযোগ লাভ করে।
পক্ষান্তরে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে সমাজের নেতৃবৃন্দ সারা জীবন নিজদের ভুল ধারণায় নিমজ্জিত থেকে ব্যর্থ জীবন কাটিয়ে দিতে বাধ্য হয়। এই নিরিখে মানুষ নিজের ভুলের ঊর্ধ্বে উঠে উন্নত মনমানসিকতার অধিকারী হতে চাইলে তার জন্য গণতন্ত্র তথা ভিন্নমতের প্রতি গুরুত্ব প্রদানের প্রয়োজন অপরিহার্য।
মানুষের জীবনে গণতন্ত্র তথা ভিন্নমতের প্রতি গুরুত্ব প্রধানের বিষয়ে আলোচনার পর এবার যে বিষয় নিয়ে আজকের এ লেখা শুরু করেছিলাম, সে বিষয় ফিরে আসি। বিষয়টি দুর্নীতি। দেশের রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে একথা বলেছেন দেশের মাননীয় বিচারপতি। আর দুদক প্রধান বলেছেন, দুর্নীতির কারণে দেশের উন্নয়ন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু কেন আজ দুর্নীতির ব্যাপক প্রসার ঘটছে যার কারণে সকল উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সে বিষয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন সর্বাগ্রে।
দুর্নীতি অর্থ নীতিহীনতা। দেশের মানুষ তখনই নীতিহীন হয়ে পড়ে যখন তাদের কোন নীতি থাকে না, আদর্শ থাকে না। সুতরাং নীতিহীনতা থেকে মানুষকে রক্ষা করা এবং তাদের জীবনকে মহৎ আদর্শের আলোকে আলোকিত করে তোলা দুর্নীতি থেকে আত্মরক্ষার জন্য অপরিহার্য। মানুষকে আদর্শের আলোকে আলোকিত করে তুলতে হলে মানুষকে জীবন সম্বন্ধে সঠিক ধারণা লাভ করার কোন বিকল্প নেই। জীবন সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে ধর্মে। জীবন সম্বন্ধে ধর্মের বক্তব্য কি? জীবন সম্পর্কে ধর্মের বক্তব্য হচ্ছে মানুষ এ দুনিয়া এসেছে ¯্রষ্টার নিকট থেকে। মৃত্যুর মাধ্যমে আবার সে তাঁর কাছেই ফিরে যায়। তখন এ জীবনে মানুষের ভাল-মন্দ কাজের জন্য ¯্রষ্টার কাছে প্রতিদান হিসাবে পুরষ্কার অথবা শাস্তি পায় সে। অতএব এই দুনিয়ার জীবনকে অস্থায়ী জ্ঞান করে আমাদের পরকালের জীবনে যাতে শান্তি লাভ করি সেই লক্ষ্যে ¯্রষ্টার নির্দেশ মোতাবেক জীবন যাপন করতে হবে।
মানুষের পার্থিব জীবন অস্থায়ী, পক্ষান্তরে পরকালের জীবন অনন্তকালের। মানুষ তার অস্থায়ী পার্থিব জীবনের সাফল্য-অসাফল্যকে অধিক গুরুত্ব দান না করে পরকালের জীবনকে যদি অধিক গুরুত্বদান করে তবে সে অধিক লাভবান হতে পারে। মানুষ দুর্নীতির পংকে নিমজ্জিত হয় সাময়িক পার্থিব লাভের উদ্দেশ্যে। দুর্নীতির কবল থেকে দেশ মুক্ত হতে পারে যদি দেশের মানুষ ¯্রষ্টার ইচ্ছার কাছে আত্মসসর্পণ করে তাঁর বিধান মোতাবেক সঠিক ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও জাতীয় জীবন গড়ে তুলতে চেষ্টা করে। সে ক্ষেত্রে সে নিজেই শুধু চুড়ান্ত বিচারে লাভবান হবে না, তার পরিবার, সমাজ এবং বিশে^ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে পারবে। কারণ বিশ^ ¯্রষ্টা আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন রাব্বুল আলামীন তথা সমগ্র বিশে^র প্রতিপালক। তাঁর প্রদত্ত জীবন বিধান অনুসারে আমরা জীবন গড়ে তুলতে চেষ্টা করলে আমরা তাঁর দেয়া নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পৃৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আশা করতে পারি। পক্ষান্তরে আমরা যদি ¯্রষ্টার প্রদর্শিত পথ পরিহার করে নিজের মনগড়া পথে শান্তি পেতে চেষ্টা করি, আমরা পৃথিবীতে তো শান্তি পাবই না এবং পরকালেও ¯্রষ্টার বিধান অমান্য করার দায়ে অনন্তকাল শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য হব।
সুতরাং আমাদের চিন্তা করে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে হবে, আমরা বিশ^ ¯্রষ্টার প্রদত্ত বিধান পালন করে এ দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পরকালে অনন্ত কাল ধরে পুরস্কার লাভের অধিকারী হতে চাই, না ¯্রষ্টার নির্দেশনা অমান্য করে এ দুনিয়ায় যেমন অশান্তি ভোগ করতে চাই তেমনি পরকালে ¯্রষ্টার বিধান অমান্যের জন্য অনন্ত কাল ধরে শাস্তি ভোগ করতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।