নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন প্রথম ওয়ানডেতে। মাশরাফি বিন মুর্তজার অপেক্ষায় এবার আরেকটি দারুণ অর্জন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস করলেই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডে ছুঁয়ে ফেলবেন হাবিবুল বাশারকে। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৬৯টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাবিবুল। সব ঠিক থাকলে আজকের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির ৬৯তম ওয়ানডে। নেতৃত্বের রেকর্ডে হাবিবুলকে তো বটেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচই খেললে শেষ ওয়ানডেতে ধরা দেবে আরও দুটি মাইলফলক। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ওয়ানডে খেলার পর বাংলাদেশের হয়ে ২০০ ওয়ানডে খেলা প্রথম ক্রিকেটারও হবেন মাশরাফি।
পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি। আগের সকলকে ছাড়িয়ে গেছেন বেশ আগেই। ৬৮ ওয়ানডেতে অধিনায়ক মাশরাফির জয় ৩৯টি। ৬৯ ম্যাচে হাবিবুলের জয় ছিল ২৯টি। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ৫০ ম্যাচে জয় এসেছে ২৩টি, ৩৭ ম্যাচে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের জয় ১১টি। অনেকের মতে, নেতৃত্বগুণেও সেরা তিনি। তবে মাশরাফি নিজে বরাবরই বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মনে করেন হাবিবুলকে। তাই পরিসংখ্যানে পাশে বসলে বা সামনে ছাড়িয়ে গেলেও মাশরাফি বাস্তবতায় এগিয়ে রাখছেন হাবিবুলকেই, ‘সবসময়ই বলে আসছি, সুমন ভাই (হাবিবুল) বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সবচেয়ে কঠিন সময়ে। অনেক সীমাবদ্ধতার ভেতরও দলকে জিততে শিখেছে ওই সময়ে। তার সময়ের সঙ্গে আসলে আমাদের তুলনা চলে না। তার আগে বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই মনে হয় এক-দেড় বছরের বেশি টিকতে পারেননি। দল হারত, অধিনায়কের কাজ ছিল কঠিন। সেই সময়ে সুমন ভাই তিন-চার বছর অধিনায়কত্ব করেছেন। তার ৬৯ ম্যাচ আসলে আমার ৬৯ থেকে অনেক এগিয়ে।’
ক্যারিয়ারের এই নতুন অধ্যায়ে বিস্ময়করভাবে চোটের কারণে বাইরে থাকেননি একটি ওয়ানডেও। চোট-আঘাত এই সময়েও এসেছে, কিন্তু লড়াই করতে করতে নিজের শরীরকে খুব ভালোভাবে চিনে ফেলা মাশরাফি শিখে গেছেন সব সামলে নিতে। ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে এবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডে, এই সময়ে বাংলাদেশের ৬৪ ম্যাচের ৬১টিতেই টস করেছেন তিনি। কেবল বিশ্রাম ও দলের মন্থর ওভার রেটের নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে খেলতে পারেননি তিনটি ম্যাচে- ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ, বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান সিরিজের প্রথম ম্যাচ ও গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।