বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অপরাধ করেছে বাবা, অথচ প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে ছোট্ট সন্তানকে হত্যা করে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এমনই একটি লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। যার বাসায় খেয়ে পড়ে বেঁচে ছিল, সেই বাসারই ৬ বছরের ছোট্ট সিয়ামকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে হত্যা করেছে মিঠু।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন বর্বর ঘটনার বর্ণনা দেন র্যাব-১ এর ক্রাইম প্রিভেশন কোম্পানি-৩ এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন। সিয়াম বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক পরিচালিত গণশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
তিনি বলেন, নিহত সিয়ামের বাবা মোফাজ্জল হোসেন ইটের ট্রলির মালিক। মিঠু শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন এবং তার বাসাতেই থাকতো। কাজে যোগ দেয়ার কয়েকদিন পর মিঠুর সঙ্গে হৃদয় নামে অপর এক শ্রমিকের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় মালিক হিসেবে মোফাজ্জল হোসেন মিঠুকে চর-থাপ্পর ও গালমন্দ করে ঘটনার মিমাংশা করে দেন।
মালিক ভালো মনে করে মিমাংশা করে দিলেও থাপ্পর মারায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মিঠু। যার প্রতিশোধ নেয় মালিকের ছেলেকে হত্যার মাধ্যমে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মালিকের ৬ বছরের ছোট্ট সিয়ামকে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে সে।
তিনি বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সিয়ামকে রূপগঞ্জের কাঞ্চনব্রিজে নিয়ে যায় মিঠু। সন্ধ্যার সময় কথা বলার ফাকে ব্রিজের রেলিংয়ে বসা সিয়ামকে ধাক্কা দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনার পর মিঠু পালিয়ে গন্ধবপুরে নিজ বাড়িতে চলে যায়। অনেকদিন ধরে তাকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গন্ধবপুর থেকে মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়।
জিয়া সাইবার ফোর্সের মহাসচিব গ্রেফতার
এদিকে, গুলিস্তান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ প্রচারণার অভিযোগে কে এম হারুন অর রশিদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। হারুন ‘জিয়া সাইবার ফোর্স’র মহাসচিব বলে র্যাব জানায়। গতকাল সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনা রাণী দাস বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভাইরাল হওয়া পোস্ট যাচাই-বাছাই ও পর্যবেক্ষণ করে র্যাবের সাইবার ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে জিয়া সাইবার ফোর্স গ্রæপটি তাদের সহযোগিদের পরস্পরের যোগসাজসে রাষ্ট্রবিরোধী মিথ্যা ও বানোয়াট পোস্ট দেওয়া ও প্রচারণা করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছে। গ্রæপের অন্যতম অ্যাডমিন এবং মহাসচিব হচ্ছেন হারুন অর রশিদ। ইতোমধ্যে এই গ্রæপের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।