বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারো ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৭ টা থেকে বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি, ভাষানচর ও দোসরপাড়া গ্রামে বাউল গ্রুপ ও মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় এই সংঘষের ঘটনা ঘটে। সিরাজদিখান থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) কাজী মাকসুদা লিমা ও সিনিয়র এএসপি (সিরাজদিখান সার্কেল) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে সিরাজদিখান এবং শ্রীনগর থানার শতাধিক পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে গ্রাম ৩টি। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষের সময় টেটাবিদ্ধ বেলাল বাউল ও কবীরসহ ১১ জন আহত হয়েছে। বেলালকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ও আটক টেটাবিদ্ধ কবীরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ২ টি দোকান ও কয়েকটি বাড়ি ভাংচুরসহ লুট পাট হয়েছে। দোসরপাড়া গ্রামে দেলোয়ারের বাড়ির ছাদ থেকে কয়েকটি ককটেল বিস্ফারণ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৪০ জনকে আটক করেছে। ২ সহস্রাধিক টেটা উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় মহিলারা জানান, সকালে নুরু বাউলের লোকজন মোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালায় গরু লুট করে নিয়ে যায়। এবং গরুঘর আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয়। এছাড়া তারা আরও জানান, ভাষানচর দোসরপাড়া গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। এরপর মোল্লাকান্দি গ্রাম থেকে বাউল গ্রুপের আমির কসাইয়ের নেতৃত্বে একটি দল দোসরপাড়া ও নতুন ভাষানচর মীর বাড়িতে সংঘবদ্ধ হয়ে মোল্লা গ্রুপের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে। শ্যামার দোকানসহ ২ টি দোকান ও একটি বাড়ি ভাঙচুর- লুটপাট করে। এ সময় মোল্লা গ্রুপের দেলোয়ারের বাড়ি থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে। ৩/৪ টি ককটেলের শব্দ শোনা যায়। বাউল সমর্থক মাজহারুল মীর, কাদির শিকদারসহ ৪ টি ঘর ভাংচুর করে মেল্লা গ্রুপ।
মোল্লাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গাডেনের শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের পরীক্ষা চলছে। কারো ২ টি কারো একটি পরীক্ষা হয়েছে কিন্তু আজ তারা পরীক্ষা দিতে যেতে পারেনি।
সিনিয়র এএসপি (সিরাজদিখান সার্কেল) আসাদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সিরাজদিখান, শ্রীনগর থানা ও পুলিশ লাইনের পর্যাপ্ত পুলিশ নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এ ঘটনায় আহত একজনকে আটক করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।