নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সপ্তম বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (সিসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় দুই মাচের চিত্র দুই রকম। রাজশাহীতে প্রথম দিনে যেখানে ছড়ি ঘুরিয়েছে ব্যাটসম্যানরা, সেখানে বগুড়ায় বোলারদের দ্বৈরথ। দক্ষিণাঞ্চলকে হতাশায় ডুবিয়ে ৪ উইকেটে ৩১৪ রান তুলে ফেলেছে পূর্বাঞ্চল। দেড়শ রানের ইনিংস খেলেছেন শামসুর রহমান। আর বগুড়ায় একাই ৬ উইকেট নিয়ে মধ্যাঞ্চলকে ২২০ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন দ্রæত বোলার এবাদত হোসেন।
পরাজয়ের মধ্য দিয়ে মৌসুম শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয় রাউন্ডেরও শুরুটাও ভালো হলো না বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। জাতীয় দলের দুই বোলার রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলাম ২৯ ওভার বল করেও কোন উইকেট পাননি। উইকেটশূণ্য থেকেছেন আরেক সাবেক জাতীয় দলের পেসার আল-আমিন হোসেন। শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে সারা দিনে যে চারটি উইকেট পড়েছে তার তিনটিই গেছে জাতীয় দলের আরেক সাবেক আব্দুর রাজ্জাকের ঝুলিতে।
দিনের শেষ সেশনে ফজল মাহমুদের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শামসুর। এর আগে ২২৮ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১৫৩ রানের পথে প্রথম উইকেটে রনি তালুকদারের সঙ্গে গড়েন ৯২ রানের জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে ফিফটি জুটি গড়েন আরো একটি। লাঞ্চের আগে ও পরে তিন উইকেট নিয়ে দক্ষিণকে আশা দেখাচ্ছিলেন দলীয় অধিনায়ক রাজ্জাক। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে তাসামুল হকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৯৯ রানের জুটিতে দলকে নিরাপদে নিয়ে তারপর আউট হন জাতীয় দলের হয়ে ছয়টি টেস্ট খেলা শামসুর। অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটিতে দিন শেষ করেন তাসামুল ও ইয়াসির আলি।
বোলারদের ব্যর্থতার সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যানরাও। এবারো প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোসাদ্দেক হোসেন। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় মধ্যাঞ্চলও। শুভাগত হোমকে নিয়ে ৮৯ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন আব্দুল মাজিদ। দলের একমাত্র ফিফটি ইনিংস খেলে মাজিদ যখন আউট হন দলের স্কোর তখন ৭ উইকেটে ১৬৬। শান্তর দল দুইশ পার করে মোশাররফ হোসেনের ৩৪ রানের কল্যাণে। ৫১ রানে ৬ উইকেট নেন এবাদত। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটিই ২৪ বছর বয়সীর প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার। টানা দুই বলে শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভবনাও জাগিয়ে রেখেছেন ইবাদত।
জবাবে উত্তরাঞ্চলের শুরুটাও নড়বড়ে হয়ে যায় চতুর্থ ওভারে জুনায়েদ সিদ্দিক ফিরে গেলে। তবে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটিতে বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দেন মিজানুর রহমান ও ফরহাদ হোসেন। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মধ্যাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল, বগুড়া
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৬২.৫ ওভারে ২২০ (লিটন ৩, শান্ত ১০, মজিদ ৭৬, মোসাদ্দেক ২, শুভাগত ৪৮, জাকের ১৩, মোশাররফ ৩৪, শহিদুল ১৬, রবিউল ৫*, আবু হায়দার ০; ইবাদত ৬/৫১, মোহর ১/৫৪, জিয়া ২/৩৫, সানজামুল ১/৬৮)।
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১৫.১ ওভারে ৭২/১ (মিজানুর ৩৪*, জুনায়েদ ২, ফরহাদ ৩১*; আবু হায়দার ০/২০, শহিদুল ১/২৪, রবিউল ০/১৫, মোশাররফ ০/৮)।
পূর্বাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, রাজশাহী
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৯০ ওভারে ৩১৪/৪ (রনি ৫৩, শামসুর ১৫৩, মাহমুদুল ২১, জাকির ১, তাসামুল ৪৭*, ইয়াসির ২৬*; শফিউল ০/৫৩, আল আমিন ০/৩২, রুবেল ০/৪৬, রাজ্জাক ৩/১১১, মেহেদি ০/৫১, মাহমুদ ১/১০)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।