Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড চাই

| প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালেয়র অধীনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ন্যায় সরকারি এবং প্রকল্পের জনবল নিয়োগ জন্য আরেকটি কর্মচারী কর্মকমিশন বা কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড সৃষ্টি করা এখন সময়ের দাবি। এই কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড দেশের সকল মন্ত্রণালয়ের ২০তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডের সকল কর্মচারী নিয়োগ করবে। এক্ষেত্রে সকল মন্ত্রণালয় তাদের জনবল কাঠামো অনুযায়ী মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের শূন্য পদে জনবল নিয়োগের অনলাইনে চাহিদাপত্র তৈরি করবেন। সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের একই পদবীর নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বেতন স্কেল সমন্বয় করে নিয়োগ করবে এই কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড। কেননা চলমান ব্যবস্থায় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বেতন স্কেলে বৈষম্য রয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলো বছরের নির্দিষ্ট সময়ে প্রস্তাবিত অনলাইনে পূরণকৃত চাহিদাপত্র কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডে জমা প্রদান করবেন। চাহিদাপত্রগুলো সমন্বয় করে কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন এবং একই পদবীর জন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে একযোগে পরীক্ষা নেবেন। লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ প্রার্থীদের ভাইবা পরীক্ষার গ্রহণের পর প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রথম মেধা তালিকায় উত্তীর্ণদের সকলেই তাদের মেধা ভিত্তিতে পছন্দ ক্রমে মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর নিয়োগ পাবেন। একজন চাকরি প্রত্যাশী চূড়ান্তভাবে প্রথমে যে মন্ত্রণালয়ে বা যে অধিদপ্তর নিয়োগ পাবেন ঐ মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর ব্যতীত অন্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে বদলী হতে পারবেন না। সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে, সেসব প্রকল্পে যে জনবল নিয়োগ করতে হয় তার জন্যই দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করবে কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড। প্রকল্পের জনবলের চাহিদার ভিত্তিতে দ্বিতীয় মেধা তালিকা হতে নিয়োগ পাবেন এই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় মেধা তালিকার সবাই নিয়োগ পাবে না কেননা সরকারি প্রকল্পের জনকাঠামো সব সময় স্থির নয় এবং প্রকল্পের সংখ্যাও কম-বেশি হয়ে থাকে। একবার কেউ যদি প্রকল্পের নিয়োগ লাভ করে আর পরে যদি প্রকল্প সমাপ্ত হয় সেই ক্ষেত্রে প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড সৃষ্টি করা হলে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি তহবিল ব্যয় হ্রাস, সময়, মেধা এবং শ্রম লাঘব হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রায়ই নিয়োগপত্র জারি করে থাকে কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড হলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর বা স্বায়িতশাসন প্রতিষ্ঠানে নিয়াগ বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে না। একই কারণে নিয়োগপ্রার্থীদের বার ঢাকা বা দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। এতে করে বেকারদের অর্থ ব্যয় হ্রাস পাবে, সময়, শ্রম লাঘব হবে। অতএব, এই সকল বিষয় বিবেচনা করে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সকল পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার হউক সরকারি এবং প্রকল্পের জনবল নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড সৃষ্টির বিষয়টি যুক্ত করা দরকার।
ইয়াসির আরাফাত
তেগুরিয়া, কচুয়া, চাঁদপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন