প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
আওয়ামী লীগের জন্য ভোট চাইতে মাঠে নামছেন সিনেমা ও নাটকের বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচনী প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারকাদের তালিকায় অন্যতম একজন চিত্রনায়ক রিয়াজ। অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে শাকিল খান, ফেরদৌস, শমী কায়সার, জাহিদ হাসান, মৌ প্রমুখ। প্রকাশ্যে তারকাদের রাজনীতিতে যুক্ত এবং প্রচারণা কাজে অংশগ্রহণ নিয়ে সংস্কৃতি অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, তারকাদের রাজনীতির মাঠে আসা ঠিক না। এতে তাদের প্রতি ভক্তদের ভালোবাসা কমে যায়। রিয়াজকে নিয়েও এমন কথা উঠছে। অনেকেই মনে করছেন এতে রিয়াজের জনপ্রিয়তা ভাগ হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে রিয়াজ বলেন, কেন এমনটা ভাবা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। একজন তারকারও ব্যক্তিগত জীবন থাকে। তারও রাজনৈতিক আদর্শ আছে। তিনিও ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। সবদেশেই তারকারা রাজনীতিতে যুক্ত হন। কেউ সরাসরি নির্বাচনে কেউবা থাকেন প্রিয় দল ও প্রার্থির সমর্থনে। বাংলাদেশেও এটা অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। অনেক বড় বড় তারকারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আদর্শ লালন করেছেন, নির্বাচনে গিয়েছেন। তাদের নিয়ে তো এতো সমালোচনা হয়নি। তবে এখন কেন হচ্ছে? তিনি বলেন, এর কারণ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগ সরকার সাফল্যে ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য দলগুলোর জন্য। সেইসব দলের সমর্থকরাই তারকাদের রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করছেন। তারা কিন্তু অন্য দলগুলোতে যেসব তারকা যুক্ত হচ্ছেন তাদের সমালোচনা করেন না। অন্য দলগুলোতেও কিংবদন্তী অভিনেতাসহ গায়ক-গায়িকারাও। তাদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতের পার্থক্য আছে। কিন্তু বিবাদ-বিভেদ নেই। তারাও আমার সহকর্মী। এখন তারা রাজনীতি করেন বলে বা আমার মতের বিপরীত দলের সঙ্গে যুক্ত বলে তাদের সৃষ্টিশীলতাকে কি আমি খাটো করব? তাদেরকে আর ভালোবাসি না এটা বলব? আসলে যে প্রিয় সে সবসময়ই প্রিয়। তারকার বিচার হবে তার স্বভাব, আচরণ, ভালো কাজ দিয়ে। রাজনীতির পরিচয়ে নয়। যদি কেউ প্রিয় তারকাকে একটি দলে দেখে প্রভাবিত হয় ভালো, না হলেও তো ক্ষতির কিছু নেই। এখানে কাউকে কিছু চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে না। রিয়াজ তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আমার ভক্তদের অনুরোধ করবো আপনাদের ভালোবাসাতে আমি একটা অবস্থানে এসেছি। আপনাদের আবেগের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আপনারাও আমার আবেগ, আদর্শ ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। আপনিও স্বাধীনভাবে আপনার রাজনৈতিক মত প্রকাশ করুন। তবে সেটা বুঝে শুনে ও দেখে। ভবিষ্যত বাংলাদেশ আরও কীভাবে সুন্দর হবে সেটা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। রিয়াজ বলেন, অনেকেই মনে করেন, আওয়ামী লীগ না জানি আমাকে বা আমাদের অনেক কিছু দিয়ে দিচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগের কাছে আমার ব্যক্তিগত পাওয়ার প্রত্যাশা নেই। আমি চাই, দেশটা ভালো থাকুক। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক। আমি যখন মনে করবো দেশকে কিছু দিতে পেরেছি তখন না হয় দেশের কাছে চাইবো। আপাতত দেশের জন্য কাজ করছি। রিয়াজ জানান, শিগগিরই আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণায় নামবেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।