পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইবতেদায়ি মাদরাসার নতুন নীতিমালা অনুমোদন, বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ৫ ভাগ ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা প্রদানো ঘোষণা এবং অবসর ভাতার জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মাদরাসা শিক্ষকদের একক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে জমিয়াতের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাত শেষে মাদরাসা শিক্ষার অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের দাবি পূরণের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফুল তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। একই সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীরকেও ধন্যবাদ জানানো হয়। শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফুল তুলে দেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শফিউদ্দীন আহমদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম ছায়েফ উল্যা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ জিয়াউল হক, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা আখম আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাফর সাদেক, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা এজহারুল হক, দিনাজপুর জেলার সভাপতি মাওলানা হাসান মাসুদসহ ঢাকা মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দ।
এসসময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মাদরাসা শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ইসলামীর আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। একইসাথে মাদরাসা শিক্ষার জন্য পৃথক অধিদপ্তর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের সমান করেছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মতো মাদরাসা শিক্ষার্থীদের একই সিলেবাসের আওতায় এনে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সব ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় তিনি এসব কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সবসময় মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছেন। ভবিষ্যতেও তিনি মন্ত্রী থাকলে কিংবা না থাকলে সবসময় মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে এবং সহযোগিতায় কাজ করার আশা প্রকাশ করেন। একইসাথে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সকল আলেম-ওলামাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার নিজের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, গত দশ বছরে মাদরাসা শিক্ষকরা যেসব দাবি দাওয়া করেছেন তার সবই আওয়ামী লীগ সরকার পূরণ করেছে। এখনো যেসব ছোটখাটো দাবি-দাওয়া অপূরণ রয়েছে আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে তা পূরণ করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।