বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গাঁজা ব্যবসায়ী সহ মোট ছয় জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গাঁজা কেনা ক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ততা থাকায় শাবির দশ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে সোয়াব আলীকে ফাঁদ পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ। এসময় তার সাথে ৩২ পুরিয়া গাঁজা পাওয়া যায। সব গাঁজা বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছে বলে জানায় সোয়াব আলী।
এদিকে বিকেল থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সোয়াব আলীর মোবাইলের কল লিস্ট ও বিভিন্ন সূত্র ধরে একের পর এক গাঁজা ব্যবসায়ী বা সেবনকারীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ৬ জন বহিরাগত এবং ১০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বহিরাগতদের মধ্যে যুগিপাড়া এলাকার মিলন মিয়া, শাবি ক্যাম্পাসের টং দোকানের কর্মচারী মইনুল মিয়া, নাজিরগাও এলাকার সালেহ আহমেদ ও পল্লাল আহমেদকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী অর্ঘ্য সরকারকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করায় পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে সোয়ব আলীর কল লিস্টের সূত্র ধরে আটক দশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ^বিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মুরশিদুল মুকারাব্বিন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাজিদ মোস্তফা, একই বিভাগের এ এম আবু সাবিত, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা সোয়েব, একই বিভাগের ওমর ফারুক, বিএমবি বিভাগের আহমদুর রহমান, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের ফাহাদ বিন আহমেদ, আশিক আরাফাত, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের খালিদ আল রাফি ও রসায়ন বিভাগের রাকিবুল ইসলাম। পরবর্তীতে তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য নিয়ে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়।
এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ। তিনি আরো বলেন, আটককৃত ছয় জনের মধ্যে ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। সন্দেহভাজন একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাদেরকে চালান দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই সোয়াব আলীকে খুঁজছিলাম। বিশ^বিদ্যালয় সহ আশেপাশের বিস্তৃত একটা এলাকায় মাদকদ্রব্য সরবারহ করতো সে। এছাড়া তার সহযোগী আরো কয়েকজনকে প্রশাসনের তৎপরতায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবো আমরা। মাদক বেঁচাকেনা বা সেবনের সাথে যে বা যারা জড়িত থাকবে তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।