নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভক্তকে ভারত ছেড়ে বের হয়ে যেতে বলে হুট করেই ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছেন ভারত ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিয়ে হচ্ছে নানারকম ট্রল। শুধু সামাজিক মাধ্যম নয় এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন সে দেশের অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তিরাও। গণমাধ্যম তো বেশ ঢালাও ভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তবে এ বিষয়টি এতো না ঘাটিয়ে হালকাভাবে নিতে বলেছেন কোহলি। তার কারণটাও তুলে ধরেছেন তিনি।
কোহলির বিরূপ মন্তব্যে তার উপর খেপেছেন অনেক ভারতীয় সমর্থক। সে তালিকায় আছেন বলিউড অভিনেতা থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোদ্ধারাও। আর গণমাধ্যমেও বিষয়টি ফলিয়ে উপস্থাপন ভালো লাগেনি কোহলির। তাই নিজের ভেরিফাইড টুইটারে লিখেছেন, ‘এটাকে হালকা ভাবে নিন আপনারা এবং উৎসবের মৌসুম উপভোগ করুণ। সবার জন্য ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা।’
তবে থেমে নেই ট্রল। টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তবে তাতে বিন্দু মাত্র বিচলিত নন কোহলি। এমনকি স্বাধীনভাবে নিজের মন্তব্য করার অধিকার রয়েছে বলেও জানান এ ক্রিকেটার, ‘আমার মনে হয় ট্রল আমার জন্য নয়। আমি ট্রল হওয়ার জন্য দৃঢ় থাকব। আমি বলেছিলাম কিভাবে ‘ওই ইন্ডিয়ানরা’ কমেন্ট করেছে এবং এটাই। আমার পছন্দের স্বাধীনতা রয়েছে।’
গত সোমবার ছিল কোহলির জন্মদিন। সেদিনই নিজের নতুন অ্যাপ চালু করেন এ খেলোয়াড়। সেই অ্যাপের এক ভিডিওতে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন এক ভারতীয়। ইনস্টাগ্রামে একজন তাকে ‘ওভার-রেটেড ব্যাটসম্যান’ বলে আখ্যায়িত করেন। এমনকি তার ব্যাটিংয়ে বিশেষ কিছু দেখেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আর এ বিষয়টি ভালো লাগেনি কোহলির। উত্তরে সেই ভক্তকে এক হাত নিয়েছেন কোহলি, ‘আমার তো মনে হয় না আপনার ভারতে থাকা উচিত। আপনার উচিত অন্য কোথাও গিয়ে থাকা। কেন আপনি আমাদের দেশে বাস করছেন? আর অন্য দেশকে ভালোবাসছেন? আমাকে পছন্দ না করলেও আমার কিছু আসে যায় না। তবে এদেশে বসবাস করে অন্য দেশের কিছু পছন্দ করা উচিত নয় বলেই আমার মনে হয়। আপনার নিজের অগ্রাধিকার ঠিক করুন।’
বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি বিসিসিআইও। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরি জানিয়েছেন, ‘বোর্ড সবসময় সমর্থকদের সম্মান দেওয়ার কথা বলে এসেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সুনীল গাভাস্কারের পাশাপাশি গর্ডন গ্রিনিজ, ডেসমন্ড হেইন্স এবং ভিভ রিচার্ডসকে ভালোবাসি। আমি শচিন, সেবাগ, সৌরভ, দ্রাবিড়ের পাশাপাশি মার্ক ওয়াহ, ব্রায়ান লারার ব্যাটিং দেখতে পছন্দ করি। শেন ওয়ার্নের স্পিন দেখতে দারুণ লাগে। আবার এটাও ঠিক অনিল কুম্বলের বোলিং দেখে আমি শিহরিত হই। একইভাবে কপিল দেবের পাশাপাশি রিচার্ড হ্যাডলি, ইয়ান বোথাম এবং ইমরান খানের বোলিং দেখতে পছন্দ করি। তার মানে আমার দেশ ছেড়ে অন্যত্র থাকা উচিত! আমার মনে হয়, ভৌগলিক ও রাজনৈতিক বাউন্ডারির বাইরে গিয়ে ক্রিকেটকে উপভোগ করা উচিত।’
অধিনায়ক কোহলির ওপর চড়াও হয়েছেন অভিনেতা সিদ্ধার্থ, ‘আপনি যদি সত্যিই কিং কোহলি থাকতে চান, তাহলে এবার থেকে কিছু বলার আগে সাবেক তারকা ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় থেকে শিখুন কীভাবে কথা বলতে হয়। ভারতীয় দলের অধিনায়ক এমন মূর্খের মতো মন্তব্য করেন কীভাবে!’ সমালোচনায় মেতেছেন বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেও, ‘বিখ্যাত মানুষেরা যে বিশেষ একটা বুদবুদে বাস করে কিংবা ঢুকে পড়তে বাধ্য হয়, বিরাট কোহলির বিবৃতিতে সেটাই প্রকাশ পেয়েছে। এই বুদবুদে সেই সব শব্দই ভেসে বেড়ায়, যা তারা সব সময় শুনতে চান। এ বুদবুদ অনেক আরামদায়ক এবং এ কারণেই বিখ্যাতদের উচিত এমন কিছু যেন সৃষ্টি না হয় সে চেষ্টা করা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।