বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জে সহপাঠীকে হত্যার দায়ে স্কুল ছাত্র শাহ আলম সিকদারকে (১৪) শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ১০ বছর আটকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল রোববার দুপুরে গোপালগঞ্জে শিশু আদালতের বিচারক মো. কবির উদ্দিন প্রামানিক এ রায় দেন। এ মামলার অপর আসামী সজিব সিকদারকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত শাহ আলম সিকদার গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর গ্রামের বাদশা সিকদারের ছেলে। সে একই উপজেলার রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ শশী কমল বিদ্যাপীঠের ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সকালে শাহ আলম সিকদার রামদিয়া বাজারের শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের ব্রাইট কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। বেঞ্চে বসা নিয়ে সহপাঠী বরকত উল্লাহ প্রিন্সের সাথে তার ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কোচিং এর শিক্ষকরা বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে মিটিয়ে দেন। সকাল ১০ টার দিকে প্রিন্স শ্রীকৃষ্ণ শশী কমল বিদ্যাপীঠে এসে ৭ম শ্রেণির নিজের ক্লাস রুমে বসে। অপর সহপাঠী সজিব সিকদারকে দিয়ে শাহ আলম ক্লাস রুম থেকে শাহ আলমকে ডেকে স্কুলের টয়লেটের কাছে নিয়ে পেটে ছুরি চালিয়ে হত্যা করে। পরের দিন প্রিন্সের পিতা হানিফ মোল্লা ওরফে দুলু বাদী হয়ে শাহ আলম ও সজিবের নাম উল্লেখ সহ আরো ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাশিয়ানী থানার এসআই শাহ জালাল গত বছরের ২৫ নভেম্বর আসামী শাহ আলম ও সজিবের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিজ্ঞ বিচারক শাহ আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ১০ বছর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রাখার নির্দেশ দেন। অপর আসামী সজিবের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় বিচারক তাকে বেখসুর খালসের আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।