Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার আকবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:২৩ পিএম

একের পর এক যৌন নিগ্রহের অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন। তবে তাতেও স্বস্তি পাচ্ছেন না এম জে আকবর। এ বার তার বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক পল্লবী গগৈ। মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ করেন তিনি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও’(এনপিআর)-তে কর্মরত তিনি।
মাত্র ২২ বছর বয়সে ‘দ্য এশিয়ান এজ’-এ কাজ করতে ঢোকেন ওই সাংবাদিক। সেই সময় কাগজের সম্পাদক ছিলেন আকবর। পল্লবীর জানান, তারকাদের মতো প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল তার। উঠতি সাংবাদিকদের কাছে তিনি ছিলেন আদর্শ। আকবরের লেখার ধরন, ভাষার দখলের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন পল্লবীও। মন দিয়ে তাঁর কাছ থেকে কাজটা শিখে নিতে চেয়েছিলেন। তাই শত কটূক্তি শুনেও তিনি প্রতিবাদ করতেন না। মুখ বুজে পরিশ্রম করে যেতেন। তার ফলও পেয়েছিলেন। কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কাগজের উত্তর সম্পাদকীয় বিভাগের দায়িত্ব পেয়ে যান। কিন্তু তার পরই শুরু হয় দুর্ভোগ। বাকি অভিযোগকারিণীদের দেখেই সাহস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পল্লবী।
পল্লবীর দাবি, একদিন আকবরের কেবিনে পাতা দেখাতে গিয়েছিলেন তিনি। নিভৃতে তাকে পেয়ে কাজের প্রশংসা করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তার পরই এগিয়ে আসেন চুমু খেতে। কোনওরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তবে চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করলেও, কাজ ছাড়ার সাহস পাননি। তার কয়েক মাস পর দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে। মুম্বাইয়ে একটি পত্রিকার উদ্বোধন ছিল। তার লে আউট দেখার জন্য তাজ হোটেলে নিজের ঘরে পল্লবীকে ডেকে পাঠান আকবর। সেখানে ফের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। চুমু খেতে যান। তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পল্লবী। তাই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পল্লবীর গালে আঁচড় কেটে দেন আকবর। সে যাত্রায়ও পালিয়ে বাঁচেন তিনি। তবে তৃতীয়বার নাকি আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি পল্লবী। জয়পুরের এক যুগলকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া নিয়ে খবর করতে গিয়েছিলেন তারা। সেই সময় ফের তাকে হোটেলের ঘরে ডেকে পাঠান আকবর। খবরটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা দরকার বলে অজুহাত দেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছতেই পল্লবীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। জামা কাপড় ছিঁড়ে দেন এবং ধর্ষণ করেন।
পল্লবীর দাবি, “তার সঙ্গে গায়ের জোরে পেরে উঠিনি। তাই শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় আমাকে। গোটা ঘটনায় এত লজ্জিত বোধ করছিলাম যে পুলিশের কাছে যাওয়ার সাহস পাইনি। কাউকে বলিওনি। বাকিদের দেখে এতদিনে সাহস পেয়েছি। কিন্তু এখন কি আর কেউ আমার কথায় বিশ্বাস করবে? অবশ্য আমিও নিজেকেই দোষ দিই। কেন যে তার হোটেলের ঘরে গিয়েছিলাম?”
এদিকে, নিজের আইনজীবী মাধ্যমে পল্লবীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এম জে আকবর। এখনও পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি প্রাক্তন মহিলা সহকর্মী আকবরের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন। যাঁর মধ্যে শুধুমাত্র প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন আকবর। তাকে বদনাম করতে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আদালতে। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আকবর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ