বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম পাড়ায় জমজমাট চায়ের আড্ডা। সেখানে আলাপচারিতায় বলছিলেন একদল তরুণ, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের এই সংলাপ সফল হউক। আশা করি সফল হবে। কেননা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। আমরা চাই রাজনীতিতে অশান্তি দূর হউক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক। তবে এই সংলাপ যদি ব্যর্থ হয় তাহলে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ আরো আরো অন্ধকারের দিকেই যাবে”।
শুধু এখানেই নয়; এমনিভাবে আজ রাত অবধি সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ঢাকায় গণভাবনের সংলাপ। যে যার মতো করে আলোচনা-পর্যালোচনায় তুলে আনছেন এ বিষয়টি।
রাজধানী ঢাকায় গণভবনে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সংলাপে কী আলোচনা হচ্ছে, কী সমাধান বেরিয়ে আসছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেওয়া ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগের জবাব কী, বৈঠক ফলপ্রসূ নাকি ব্যর্থ, আবার কোনদিন বসবে ইত্যাদি নানা প্রশ্ন আর কৌতূহল রয়েছে রাজনীতি সচেতন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। সংলাপকে কেন্দ্র করে সবধরনের মানুষের আগ্রহের পারদ এ মুহূর্তে তুঙ্গে রয়েছে। চোখে পড়েছে এক ধরনের আগ্রহমিশ্রিত টান টান উত্তেজনা। যা নিকট অতীতে নজিরবিহীন।
চট্টগ্রাম নগরীজুড়ে কৌতূহলী মানুষের আলোচনা-পর্যালোচনায় এখানে-সেখানে ভেসে আসছে গণভবনের এই সংলাপকে ঘিরে আশার ঝিলিক। তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সমর্থক থেকে শুরু করে পেশাজীবীমহল এই সংলাপের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর কাছে পত্র প্রেরণ এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত সাড়া দিয়ে সংলাপে বসার পুরো উদ্যোগটিকেই ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন। সেই সাথে সবার মাঝে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা মনে গেঁথে আছেÑ সংলাপ সফল হবে তো? ঢাকায় অবিরাম যোগাযোগ করেও অনেকে খবর নিচ্ছেন সংলাপ কীভাবে এগুচ্ছে।
চাটগাঁবাসীর সতর্ক চোখ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪ দলের ২৩ জন এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ২১ জন নেতার দিকেই। গণতন্ত্রকামী শান্তিকামী সাধারণ চাটগাঁবাসীর বক্তব্য থেকে ফুটে উঠেছে, সবাই চান আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে একটি পরিবেশ নিশ্চিত হয়ে উঠুক। আবার তারা অনেকে সতর্ক করে দিয়েছেন, সংলাপকে যে কোনো মূল্যে উদার খোলা মন নিয়ে সাফল্যের ঠিকানায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে জাতি ক্ষমা করবে না। আর এরজন্য সরকারের দায় স্বভাবতই বেশি বর্তায়। এ ধরনের অভিমত ব্যক্ত করছেন চট্টগ্রামের সাধারণ গণমানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।