পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকারের বাইরে এখন আর কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নয়। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিষয়ে এ দলটির কোন আগ্রহ নেই বলেও জানিয়েছেন দলের নেতারা। কোরবানির ঈদের পর আগামী ১৭ জুলাই থেকে ইসি নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপি সে সংলাপেও অংশ নেবে না। ২০ জুলাই বিএনপির সঙ্গে সংলাপের তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি।
এর আগে ইভিএম যাচাই-বাছাই করতে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ২৮টির রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করলেও বিএনপিসহ ১১টি রাজনৈতিক দল সে সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি।
জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে মতবিনিময়ে ২৮টি দল অংশ নিয়ে এর পক্ষে আওয়ামী লীগসহ মাত্র ৪টি দল মতামত দিয়েছে। অন্যদিকে সংসদের বিরোধী দল জাতীয়পার্টিসহ ২৪ টি দলই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। এ অবস্থায় এবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উন্মুক্ত সংলাপে বসতে যাচ্ছে ইসি। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ১৭ জুলাই সংলাপ শুরু হবে। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শেষ হবে।
কাজী হাবিুল আউয়ালের নেতৃত্বে গঠিত নতুন এ নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দ, পর্যবেক্ষক সংস্থাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সঙ্গে সংলাপ করেছে। তাদের এ সংলাপে আমন্ত্রিত দুই তৃতীয়াংশ অংশ নেয়নি। শুরুতে শিক্ষাবিদদের সাথে অনুষ্ঠিত সংলাপে আমন্ত্রিত ৩০ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩ জন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এ কমিশনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করছে।
নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে বিএনপি শুরু থেকেই কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ইসি গঠনে সার্চ কমিটি গঠনে কোন নাম প্রস্তাব করেনি বিএনপি। সেই থেকে ইসি বিষয়ে তাদের অনাগ্রহের বিয়টি শুরু। এরপর ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের আনুষ্ঠানিক সংলাপ বর্জন করে দলটি। সর্বশেষ ইভিএম নিয়ে ইসির মতবিনিময়েও অংশ নেয়নি বিএনপি।
প্রেসিডেন্টের সংলাপের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটি বৈঠক করে বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপকে অর্থহীন বলে মনে করে বিএনপি। তাই তারা অর্থহীন কোনো সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, আমরা শুরু থেকে বলে আসছি যে দলীয় সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা প্রমানীত সত্য। তাই আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না। এ বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আমরা আলোচনা বা সংলাপও করতে চাই না।
বিএনপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং অবস্থান হচ্ছে, তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার বা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যাবে না। আলোচনা হবে শুধু নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়, এটাই তাদের দাবি।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বিএনপি মনে করে, নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে সমাধানে না আসা পর্যন্ত ইসির সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় নূন্যতম সুফল আসবে না। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এরপর নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। তারাই সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের সঙ্গেই নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসবে বিএনপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।