মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মানির কুখ্যাত সাবেক সিরিয়াল কিলার নার্স নিলস হ্যোগেল ১শ’ রোগীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। অল্ডেনবুর্গ আদালতে গতকাল মঙ্গলবার হ্যোগেলের বিরুদ্ধে মামলার শুনানির শুরুতেই তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তত্ত্বাবধানে থাকা ছয় রোগীকে হত্যার অভিযোগে ৪১ বছর বয়সী এ পুরুষ নার্স ইতোমধ্যেই জার্মানিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করছেন। এর মধ্যেই ১শ’ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করে হ্যোগেল বলেছেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে তিনি অল্ডেনবুর্গ শহরের হাসপাতালে ৩৬ জন এবং কাছের ডেলমেনহোর্স্ট শহরের হাসপাতালে ৬৪ রোগীকে হত্যা করেছেন। সর্বনিম্ন ৩৪ থেকে সর্বোচ্চ ৯৬ বছর বয়স পর্যন্ত রোগীদেরকে খুন করেন হ্যোগেল।
হত্যার শিকার রোগীদের স্বজনরা মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বিচারক ১০০ রোগী হত্যায় তিনি জড়িত কিনা জানতে চাইলে হ্যোগেল বলেন, ‘হ্যাঁ’।
এ স্বীকারোক্তি দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধারাবাহিক খুনিতে পরিণত হলেন হ্যোগেল। আগামী বছরের মে পর্যন্ত এ মামলার শুনানি চলতে পারে। জার্মানির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের জন্য মামলাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
তদন্ত কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, হ্যোগেল হয়ত আরও অনেককে হত্যা করেছেন। একটি ভিকটিম সাপোর্ট গ্রুপের প্রধান বলেন, “আশা করি প্রতিটি হত্যার জন্যই সে দোষীসাব্যস্ত হবে।”
হ্যোগেল হাসপাতালের যে ইউনিটে সে কাজ করতেন সেখানে তার শিকারদের দেহে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করতেন। এতে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে বা শরীরে রক্তচাপ কমে রোগী মারা যেত।
ঊর্ধ্বতনদের কাছে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে কিংবা একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে হ্যোগেল একাজ করতেন বলে জানিয়েছে কৌসুলিরা। ২০০৫ সালে ডেলমেনহোর্স্ট এক রোগীকে চিকিৎসক দেননি এমন একটি ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করতে গিয়ে হ্যোগেল প্রথম ধরা পড়েন।
২০০৮ সালে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তার সাত বছরের কারাদন্ড হয়। তার অপরাধের বিস্তৃতি জানতে ২০১৪ সালে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে নতুনভাবে তার বিচার শুরু হয়। কমিশন শত শত মেডিকেল রেকর্ড পরীক্ষা করে ও কবর থেকে ১৩৪টি দেহাবশেষ তুলে এনে তাতে ওষুধের মাত্রা সনাক্ত করা চেষ্টা করে; কিন্তু অনেক রোগীর লাশ পুড়িয়ে ফেলায় তদন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
ওই মামলায় শেষ পর্যন্ত দুই রোগীকে হত্যা এবং আরো দুইজনকে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে হ্যোগেল দোষীসাব্যস্ত হন এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, হ্যোগেলের অপরাধের শিকার হয়েছেন আরো অনেকে। আদালতে হ্যোগেল বলেন, নিজের কান্ডের জন্য তিনি ‘সত্যিই দুঃখিত’। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।