Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতীয় সিরিয়াল প্রচার নিয়ে নির্মাতাদের ক্ষোভ

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশের পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থায় ভারতীয় সিরিয়ালের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় শিল্প-সংস্কৃতি। ভিনদেশি এ সাংস্কৃতিক আগ্রাসন নিয়ে দেশের নির্মাতারা বহুদিন ধরে সোচ্চার হলেও ভারতীয় সিরিয়াল সম্প্রচার বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেই। এ নিয়ে দেশীয় নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তারা সরকারের দৃষ্টির পাশাপাশি আরও কঠোর নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। অভিনেতা ও নাট্য নির্দেশক মামুনুর রশীদ বলেন, ভারতীয় সিরিয়াল বাংলাদেশে চলা নিয়ে সরকার একটি কমিটি করেছিল। সেই কমিটিতে আমিও ছিলাম। সেখানে বলেছি, এসব সিরিয়াল নিয়ন্ত্রিতভাবে চালানো উচিত। সেই প্রস্তাবনা দেড় বছর ধরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ভারতীয় সিরিয়ালের আগ্রাসনে বাংলাদেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক সংকট। তিনি বলেন, এ বিষয়ে অনেকদিন ধরেই অনেক কথা বলেছি, টক শো, মানববন্ধন করেছি। পত্রপত্রিকায়ও লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আমরা শিল্পীরা এ বিষয়ে বরাবরই সোচ্চার। অন্যদিকে সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। প্রথম অবস্থায় আমরা বলেছি বন্ধ করে দিতে। এরপর বললাম, নিয়ন্ত্রিতভাবে অফপিক আওয়ারে ভারতীয় সিরিয়াল চালানোর জন্য। সরকার কোনো দাবিই রক্ষা করেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ নাট্যব্যক্তিত্ব। নাট্যকার এজাজ মুন্না বলেন, ভারতীয় সিরিয়াল নিয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এসব বিষয় থেকে আমরা যেন বেরিয়ে আসতে পারি। বিষয়টা সরকারিভাবে আলোচনার পর্যায়ে আছে। সব নাট্য সংগঠন মিলে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এসব আলোচনা হলে আমরা বুঝতে পারব, পরবর্তী সময়ে কী হবে। তবে নাট্যকার পরিচয়ের বাইরে এসে ব্যক্তি মানুষ হিসেবে বলতে পারি, সমান সমান বিনিময় প্রথা থাকা উচিত। যদি ভারতীয় সিরিয়াল এ দেশে চলে তাহলে বাংলাদেশের সিরিয়ালও ভারতে চালাতে হবে। নাট্যকার ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাস বলেন, এ নিয়ে বহুবার বলেছি, বহু কথা হয়েছে। ফল পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সিরিয়াল কারা কীভাবে চালায়, কোন নীতিমালায় চালায়, তা স্পষ্ট নয়। এভাবে অবাধে প্রচার করা আমাদের সংস্কৃতির জন্য খুব একটা লাভজনক কিছু নয়। আমাদের সংস্কৃতি রক্ষায় একটা নীতিমালা হওয়া উচিত। সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য যা করা প্রয়োজন তা অবশ্যই করা উচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ