Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশী সিরিয়াল দেখবো না কেন?

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার : বিপ্লব ঘটেছে দেশে ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার। ভিজুয়াল মিডিয়া হিসেবে টেলিভিশন এখন অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম। দেশে সম্প্রাচারে রয়েছে ২৬টি টিভি। বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অধিকাংশ টিভিতে খবর দেখানো হয়। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এখন শুধু বিনোদন মাধ্যম নয়; টিভির প্রচারিত ‘খবর’ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বটে। টিভির মতোই কয়েক বছরে দেশে টিভি সাংবাদিকতায় বিপ্লব ঘটেছে। এই খবর বিশাল জনসগোষ্ঠীকে সচেতন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রশ্ন হলো খবর প্রচারের ক্ষেত্রে টিভি কতোটুকু প্রভাব বিস্তার এবং দর্শকদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারছে? মূলত টিভি মিডিয়ার কাজ হলো দর্শকদের তথ্য দেয়া, শিক্ষা দেয়া, বিনোদন দেয়া এবং দর্শক-শ্রোতাদের প্রভাবিত করা। কিন্তু করপোরেট বাধ্যবাধকতা, মালিকপক্ষের স্বার্থ, রাজনৈতিক মতাদর্শের সীমবদ্ধতায় টিভিগুলো কতটুকু নিরপেক্ষ থেকে বস্তুনিষ্ঠ খবরের মাধ্যমে দর্শক চাহিদা মেটাতে পারছে? নাকি গণমাধ্যম টিভি শুধু প্রভাবশালীদের ‘প্রচারমাধ্যম’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে? দেশের বেসরকারি টিভির খবরের ওপর দর্শক কতটা নির্ভরশীল তা গাইবান্ধার সাঁওতাল ইস্যুর ঘটনায় প্রমাণ মেলে। দেশে এতোগুলো টিভি থাকার পরও মধ্যপ্রাচ্যের কাতার থেকে প্রচারিত আল জাজিরার সচিত্র খবর প্রচারের পর সর্বোচ্চ আদালত সাঁওতাল পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। হাজার হাজার মাইল দূর থেকে আল জাজিরা সাঁওতালদের দুর্দশার সচিত্র খবরে যে ফুটেজ প্রচার করেছে; সে ফুটেজ দেশের ২৬টি টিভির একটিও প্রচার করতে পারেনি। বিদেশী ওই টিভির খবরই দেশের প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া গুরুত্বসহকারে প্রচার করেছে। এতো গেল টিভির খবরের কথা। শিক্ষা, বিনোদন আর জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ? দেশে এতোগুলো চ্যানেল থাকার পরও ভারতীয় চ্যানেলের সিরিয়াল ও অনুষ্ঠান দেখছে দেশের বেশিরভাগ দর্শক। শহর-গ্রাম একই চিত্র। এসব সিরিয়াল-নাটকে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, মন্দিরের ঘণ্টা, ঢোলবাদ্য, পূজার সরঞ্জাম প্রাধান্য পায়। হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি তথা ভাইফোঁটা, ভালবাসা দিবস, উল্কি, হোলিখেলা, রাখি ইত্যাদির প্রতি জোর দেয়া হয়। আকাশ সংস্কৃতি উন্মুক্তের নামে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানসমূহ দেখে আমাদের দেশের দর্শকদের নৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে। কোলকাতার টিভি চ্যানেলে বছরব্যাপী গল্পবিহীন সিরিয়ালে কপটতা, অনৈতিকতা, পারিবারিক কলহ, কুটিলতা, শিশুদের মিথ্যা বলা, ছলাকলা, চাতুরি শেখানো হচ্ছে। আমাদের দর্শকরা স্টার প্লাস, জি বাংলা, সনি, তারা বাংলা, কালার টিভি, সাহারা টিভি দেখছে। এসব দেখে ছোট শিশুরা সহজেই বিজ্ঞাপন ও ভারতীয় কার্টুনের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। তারা বাংলা, ইংলিশ, হিন্দী ভাষায় ডাবিং করা ডোরেমন, নিনজা হাতুড়ি, ওগি এন্ড ক্রজেস, মিস্টার বিন, পাকদাম পাকদাই, টম এন্ড জেরি, জিং এন্ড সার্ক, ডোরা, মোটু-পাতলু, নাটবল্টু, গোপাল ভাড় কার্টুন দেখছে। এসব নিয়ে আমাদের বুদ্ধিজীবী, নাট্টাঙ্গনের রথী-মহারথী, শিল্প-কলাকুশলীদের উচ্চবাচ্য নেই। অথচ ঢাকার কয়েকটি চ্যানেলে মসুলিম রেনেসাঁস, ইসলাম ঐতিহ্য, মুসলিম শাসকদের বীরত্বগাথা সাফল্যের কিচ্ছাকাহিনী নিয়ে নির্মিত বিদেশী সিরিয়াল ডাবিং করে দেখানো শুরু হওয়ায় তারা ‘রাস্তায়’ নেমেছে। তাদের দাবি বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে এবং বিদেশী সিরিয়াল বন্ধ করতে হবে। বিদেশী টিভির বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি যৌক্তিক। কিন্তু ঢাকার টিভির বিদেশী সিরিয়ার বন্ধ কেন? ভারতীয় চ্যানেলগুলোর হিন্দুয়ানী সিরিয়াল এবং কার্টুন বন্ধের দাবি করা হচ্ছে না অথচ রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে ইসলামী সভ্যতা নিয়ে নির্মিত মুসলিম শাসকদের ইতিহাস নির্ভর বিদেশী সিরিয়াল বন্ধের দাবি? ইসলামী সভ্যতা, শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি আমাদের দর্শকরা অকৃষ্ট হলে কোলকাতা থেকে প্রচারিত টিভিগুলোর হিন্দুয়ানী সিরিয়ালের দর্শক পড়ে যাবে এই ভয়ে কি আমাদের সংস্কৃতিসেবীরা আতঙ্কিত?
প্রশ্ন হলো আমরা ইসলামী সভ্যতা নিয়ে নির্মিত বিদেশী সিরিয়াল দেখবো না কেন? ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে টিভি দর্শকদের হিন্দুয়ানী সংস্কৃতির বদলে ইসলামী সভ্যতা, সাহিত্য, ইতিহাস সম্পর্কে জানা কী জরুরী নয়? বর্তমানে ঢাকার থেকে প্রচারিত এসএ টিভিতে ইউসূফ জুলেখা, মাছরাঙ্গা টিভিতে দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান, দীপ্ত টিভিতে সুলতান সুলেমান, একুশে টিভিতে আলিফ লায়লা, হাতেম দেখানো হচ্ছে। এক. আরব দেশে হাতেম বীর, সাহসী ও পরোপকারী যুবক। তার দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর অভিযান হলো ‘হাতেম’ গল্প। ফার্সি কবি শেখ সাদি তার বিখ্যাত ‘বুস্তান’ গ্রন্থে হাতেমকে উদারতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আরব্যোপন্যাসে প্রথম হাতেমের অভিযানের গল্প উঠে আসে। এছাড়া ফার্সি পা-ুলিপি ‘কিস্সা-ই-হাতিম তাই’-এ বিশদ ভাবে হাতেমের রোমাঞ্চকর কাহিনী লিপিবদ্ধ হয়। হাতেম-কাহিনীর অগ্রগণ্য ইংরেজি অনুবাদক ডানকান ফোর্বস। হাতেম মধ্যপ্রাচ্য থেকে ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য দেশে। উর্দু-হিন্দি অনুবাদ, টিভি সিরিয়াল ও চলচ্চিত্র মাধ্যমে ভারতবর্ষে হাতেম জনপ্রিয় হয়। ঐতিহাসিক কারণেই হাতেম আর আরবের গ-িতে থাকেনি; বিশ্বের দেশে দেশে স্ব-স্ব দেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইতিহাস হাতেমের দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর অভিযানের স্বীকৃতি না দিলেও তার উদারতা ও পরোপকারী মনোভাবের কথা সবাই মানেন। হাতেম প্রবাদপুরুষ হয়ে ওঠেন। তার সততা, পরোপকার ও দানশীলতার কথা মানুষের মুখে মুখে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আলিফ লায়লা আরব এবং ইসলামী সভ্যতার একটি অন্যতম সাহিত্য। খলিফা হারুন আর রশীদের খিলাফত কালে রাজধানী বাগদাদের বিখ্যাত সাহিত্যিক লিখেন এই কাহিনী। দুই. প্রাগঐতিহাসিক যুগের পর আরবে গল্প বলার প্রচলনে জন্ম ‘আলিফ লায়লা’র। গল্পে কাহিনীতে বাদশাহ প্রতিদিন একটি কুমারী মেয়েকে বিয়ে করে সকালে নববিবাহিতা বধূকে কতল করতেন। এভাবে চলতে চলতে আসে উজির কন্যা শহরজাহানের পালা। তিনি রাতে বাদশাহকে গল্প বলা আরম্ভ করেন। এই গল্প বলতে বলতে ভোর হয়ে যায় কিন্তু গল্প শেষ হয় না। কৌশলে উজির কন্যা এমন এক পরিস্থিতিতে গল্পের শেষ করতেন যেখানে বাদশাহর গল্প শোনার আগ্রহ বাড়ে। এভাবে শহরজাহান গল্প বলার এক হাজার এক রাত অতিক্রম করার পর নারী জাতির প্রতি বাদশাহ’র ভুল ধারণা ভাঙ্গে। উজির কন্যা বেঁচে যান। তিন. মধ্যযুগের পুঁথি লেখকদের রচিত বাংলা সাহিত্যের একটি প্রণয়কাব্য ইউসুফ জোলেখা। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি শাহ মুহম্মদ সগীর ১৩৯৩-১৪০৯ সালে গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে ইউসুফ-জোলেখা রচনা করেন। শাহ মুহম্মদ সগীর ছাড়াও মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ-জোলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেন। তার মধ্যে আবদুল হাকিম, শাহ গরিবুল্লাহ, গোলাম সফাতুল্লাহ, সাদেক আলী এবং ফকির মোহাম্মদ প্রমুখ। কাব্যের আরম্ভে আল্লাহ ও রাসুলের বন্দনা, মাতা-পিতা ও গুরুজনের প্রশংসা এবং রাজবন্দনা আছে। বাদশাহের কন্যা জোলেখা আজিজ মিশরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও ক্রীতদাস ইউসুফের প্রেমে পড়েন। নানাভাবে আকৃষ্ট করেও তিনি ইউসুফকে বশীভূত করতে পারেননি। বহু ঘটনার মধ্য দিয়ে ইউসুফ মিশরের অধিপতি হন। ঘটনাক্রমে জোলেখা তখনও তার আকাক্সক্ষা পরিত্যাগ করেননি এবং পরে ইউসুফের মনেরও পরিবর্তন ঘটে। ফলে তাদের বিবাহ। এসব মুসলমানদের এসব ইতিহাস নির্ভর কাহিনী শোনার অধিকার কি এদেশের সাধারণ মানুষের থাকবে না?
২০১৫ সালের নভেম্বরে ঢাকায় বাংলা চ্যানেল দীপ্ত টিভি আত্মপ্রকাশ করেই ডাবিং করা তুরস্কের জনপ্রিয় সিরিজ ‘মুহতেশেম ইউযিউয়েলের’ বাংলায় ‘সুলতান সুলেমান’ প্রচার শরু করে। এটা নির্মিত হয়েছে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘতম সময়ব্যাপী রাজত্ব বিস্তারকারী উসমানীয় সম্রাট প্রথম সুলাইমান, তাঁর স্ত্রী হুররেম সুলতান এবং তাদের এক কৃতদাসী নারীর জীবনীর উপর ভিত্তি করে। সুলতান সুলেমানের সততা-যোগ্যতার কথা ছিল সর্বত্র আলোচিত। পিতার মৃত্যুর পর তিনি ১৫২০ সালে খলিফা হন; ছিলেন ১৫৬৬ সাল পর্যন্ত। সুলাইমান ছিলেন নিষ্ঠাবান মুসলিম। দৈনন্দিন জীবনে তিনি ইসলামের অনুশাসনগুলো নিষ্ঠার সাথে প্রতিপালন করতেন। সকল মুসলিম নাগরিক যাতে নিয়মিত নামাজ ও রোজা পালন করে সেই দিকে ছিল তাঁর সজাগ দৃষ্টি। নামাজ ও রোজা পালনে শৈথিল্যে ছিল শাস্তি। প্রথম সুলাইমান আল কুরআনের ৮টি খ- নিজের হাতে কপি করে সুলাইমানিয়া মসজিদে সংরক্ষণ এবং কা’বার সংস্কার করেন। সিরিয়ালটি বাংলাদেশে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
ঢাকা থেকে প্রচারিত টিভি সিরিয়ালগুলো জনপ্রিয়তা পাওয়ায় দেশের টিভি মিডিয়ার শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংগঠন ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও), পরিচালকদের ডিরেক্টরস গিল্ড এবং টিভি মালিকদের সংগঠনসহ কয়েকটি সংগঠন বিদেশী ধারাবাহিক বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামে। পাশাপাশি তারা বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশী পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি জানায়। তারা দাবি জানায় ঢাকার টিভির বিদেশী সিরিয়ার বন্ধ এবং ভারতীয় চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আবার দুই শ্রোত স্পষ্ট। একটি শ্রোত চায় বিদেশী সিরিয়াল শুধু নয়; বাংলাদেশে বিদেশী চ্যানেলের ওপর বিধিনিষেধ আনা হোক। একই সঙ্গে বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ করা হোক। আরেকটি অংশ চায় বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বন্ধের পাশাপাশি ঢাকার টিভিতে বিদেশী সিরিয়াল বন্ধ করা হোক। ভারতীয় অপসংসস্কৃতি তথা কোলকাতার চ্যানেলগুলোর যে হিন্দুয়ানী কালচারের সিরিয়াল চলছে সেগুলোর ব্যাপারে তাদের কোনো আপত্তি নেই। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। প্রশ্ন হলো মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ঢাকার কয়েকটি চ্যানেলে প্রচারিত বিদেশী সিরিয়ালগুলো বন্ধের জন্যই কি এ আন্দোলন? দেশের শিল্প সংস্কৃতি এবং দেশের নাট্টজগতের শিল্পী-কলাকুশলিদের রুটিরুজির কথা চিন্তা করে যদি এ উদ্যোগ হয় তাহলে প্রথমে ভারতীয় চ্যালেলগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। এতে দেশের সংস্কৃতি বাঁচে এবং ঢাকার টিভিগুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। কিন্তু কোলকাতার অপসংস্কৃতি প্রচারের টিভি সিরিয়াল চলবে আর ঢাকার টিভির মুসলিম রেনেসাঁর সিরিয়াল বন্ধ করা হবে এটা অন্যায্য দাবি। যদি ঢাকার টিভিগুলোকে বিদেশী সিরিয়াল বন্ধ করতে হয় তাহলে ভারতীয় টিভিগুলোর প্রচারণাও বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় চ্যানেলগুলো কৃষ্ণ, রাম, লক্ষণ, রাবন, হনুমান নিয়ে সিরিয়ালে হিন্দুত্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরবে এবং তা ঢাকার দর্শকের দেখতে বাধা থাকবে না; আর ঢাকার টিভি দর্শকরা মুসলিম সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, রেনেসাঁস ও ইসলামী সভ্যতা নিয়ে নির্মিত টিপু সুলতান, সুলতান সোলেমান, ইউসুফ জোলেখা, হাতেম, আলিফ লায়লা দেখতে পারবে না? এ কেমন যুক্তি? বরং আমাদের শিল্পী ও নাটকের কলাকুশলীদের উচিত আমাদের টিভি দর্শক ইসলামী ইতিহাস নিয়ে নির্মিত সিরিয়ালের প্রতি উৎসাহী তাই দর্শকদের চাহিদা বিবেচনা করেই ইসলাম ইতিহাস ঐতিহ্য নির্ভর নাটক-সিরিয়াল নির্মাণ করা। এতে কোলকাতার চ্যানেল থেকে দেশের দর্শক মুখ ফিরিয়ে দেবে এবং আপনাদের রুটিরুজি নিশ্চিত হবে। দর্শক যে টিভি বেশি দেখেন সেখানেই ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞাপন দেবেন এটাই স্বাভাবিক।



 

Show all comments
  • Fahmida Haq ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:২২ এএম says : 2
    ভাল লেগেছে লিখাটা।
    Total Reply(0) Reply
  • Asaduzzaman Bhuiyan ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:২৪ এএম says : 2
    ভারতীয় অপসংস্কৃতি সব কিছু গ্রাস করছে কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নাই। মংগল প্রদীপ জালিয়ে এক চোখ বন্ধ করে ইসলামি ঐতিহ্যের পিছনে লেগেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Shofik Al Mahadi ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:২৫ এএম says : 1
    বুঝার আছে অনেক কিছু। কেন তারা আন্দোলনে নামে।
    Total Reply(0) Reply
  • Musa Kalimulla ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:২৯ এএম says : 1
    ইন্ডিয়ান চ্যানেল না থাকলে দেশীয় চ্যানেল সবাই দেখবে, যখন কোন চ্যানেল ছিলনা তখন বি টি ভি মজা করেই দেখত সবাই।।
    Total Reply(0) Reply
  • Mustafizur Rahman ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:২৯ এএম says : 0
    Deshi channel a natok ba kono anushthaner modhdhe ato beshi add dekhai bangalira ashthir hoye bangla channel r dekhte chaina
    Total Reply(0) Reply
  • Fazlul Haque ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:১৯ এএম says : 1
    আমাদের শিল্পী ও নাটকের কলাকুশলীদের উচিত আমাদের টিভি দর্শক ইসলামী ইতিহাস নিয়ে নির্মিত সিরিয়ালের প্রতি উৎসাহী তাই দর্শকদের চাহিদা বিবেচনা করেই ইসলাম ইতিহাস ঐতিহ্য নির্ভর নাটক-সিরিয়াল নির্মাণ করা। এতে কোলকাতার চ্যানেল থেকে দেশের দর্শক মুখ ফিরিয়ে দেবে এবং আপনাদের রুটিরুজি নিশ্চিত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Fahad ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:২৩ এএম says : 1
    very important and logical writing. we expect that The related authority do those work. It will be good for them & our country.
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Uddin ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:২৭ এএম says : 1
    The Indian are not watching BD TV but we Bangladeshi are compelled to watch Indian TV. What a bad instances this is? As on today we could not stop broadcasting Doraimon. What is doing our ministry of information.
    Total Reply(0) Reply
  • আমিনুল ইসলাম ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৯ এএম says : 0
    একই প্রেম কাহিনী ও আঞ্চলিকতার ভারামু মানুষ আর কত দেখবে?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদেশী সিরিয়াল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ