Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ছোট মাছ নিধন বন্ধ করুন

চি ঠি প ত্র

| প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দাদা-দাদুদের মুখে শুনেছি বড় বড় মাছের গল্প। পাঁচ কেজি, ছয় কেজি ওজনের মাছ ছাড়া কেউ বাজার থেকে মাছ আনত না। আর এখন বড় মাছ চোখে দেখা দুষ্কর, বর্তমান প্রজন্মের কাছে একপ্রকার স্বপ্নের মতো। সমুদ্রের অনেক প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। আয়োডিনের এক বড় ভাগ আসে সামুদ্রিক মাছ থেকে। কিন্তু এখন সমুদ্রে চলছে ছোট মাছ নিধনের মহাযজ্ঞ। ফলে আমরা এখন সমুদ্রের যে মাছ পাই তা প্রায়ই অপরিপক্ব বা খুবই ছোট। মাছ ভালোভাবে না বাড়ার আগেই তা বাজারে ওঠানো হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় এহেন কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে মাছ থেকে সঠিক পরিমাণ আয়োডিনের চাহিদা অপরিপক্ব মাছ থেকে পাওয়া সম্ভব নয়। কাঁচাবাজারে গেলে দেখা যায়, সামুদ্রিক সব অপরিপক্ব মাছ নিয়ে বসে আছে কিছু অসাধু জেলে ও মাছ ব্যবসায়ী। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা অপরিপক্ব মাছ বেশি দিন রাখতে ব্যাপক হারে ফরমালিন মিশিয়ে দেয়, যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আগে মাছ রান্না করলে বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশী মাছের ঘ্রাণেই খবর পেয়ে যেত। আর এখন মাছ রান্না করলে ঘরেই ঘ্রাণ পাওয়া যায় না। সেদিন আবারও ফিরে আসবে যদি সবাই মাছ আহরণের ব্যাপারে সচেতন হই। আবারও দেখা মিলতে পারে বড় ওজনের সব কেমিক্যালমুক্ত নির্ভেজাল মাছের। আর এ জন্য সব মাছ ব্যবসায়ী ও জেলে ভাইকে মৎস্য আইন মেনে চলতে হবে। তাহলেই দেশ মৎস্যসম্পদে ভরপুর হয়ে যাবে। কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে হবে। আইন লঙ্ঘন করে মাছ আহরণকারী অসাধু জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তাইফুর রহমান মুন্না
মোরেলগঞ্জ
বাগেরহাট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাছ

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন