পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজারে শীতকালীন সবজির দাম অন্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কিছুটা কম। তবে তীব্র শীতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছের দাম। মাছ-গোশতের মূল্য আগের মতোই চড়া। নদীর মাছে হাত দেয়ার জো নেই মধ্যবিত্তের। চাষের প্রজাতির দর বেড়েছে কেজিতে অন্তত ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, কুয়াশার কারণে ট্রাকের আনাগোনা কমেছে। তাই মাছের যোগান কম। ক্রেতাদের অভিযোগ, মাছ-গোশতের বাজার দিন দিন নিম্ন-মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, শীতসহ নানা কারণে বাজারে ক্রেতা কম। ফলে, ব্যবসাও কমে গেছে। এদিকে এখনো কমেনি চিনিতে অস্বস্তি।
রাজধানীর কাপ্তান বাজার ঘুরে জানা গেছে, পাঙাশ ছাড়া বাজারে ২৫০ টাকার নিচে কোনো মাছ বিক্রি হচ্ছে না। আর সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ শত টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ টাকা। রুই ৩০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা কালিবোস ২৫০ টাকা, টাকি মাছ ৩ শত টাকা, ছোট পাঁচ মিশালী মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও কই মাছ ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০ টাকা, বাঘা মাছ ৯০০ টাকা কেজি, বাইং (বাইন) মাছ কেজি ৭৫০ টাকা, চিতল সাড়ে ৫০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়ও বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ টাকায়, খিরাই ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ১৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, আলু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুল কপি পিস ৩৫ টাকা, বাঁধা কপি ৩০ টাকা, শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। গোল বেগুন ৭০ টাকা কেজি, আর লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি কেজি প্রতি ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, শীতের কারণে বাজারে মানুষ নেই। আর যারা আছে তারাও বাজারে দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতি জেনে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও ফুটপাতের দোকানের কারণে বাজারে ক্রেতা কম। তিনি বলেন, ফুটপাত ও ভ্যানের বিক্রেতাদের তো দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য খরচ লাগে না। তাদের শুধু চাঁদা দিলেই হয়ে যায়। ফলে আমাদের তুলনায় তারা একটু কম দামে বিক্রি করতে পারে। ফলে, ক্রেতারা সেই দিকে চলে যায়।
আরেক মাছ ব্যবসায়ী আফজাল বারী জানান, বিক্রি খারাপ না মোটামুটি হয়। আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে, ফলে বিক্রি করতে হয় বেশি দামে। যার কারণে আগের মতো মানুষ মাছ-গোশত কিনতে পারে না। এখন মাছের মধ্য পাঙাশ ও বিদেশি কই মাছের চাহিদা একটু বেশি। এই মাছগুলোর দাম অন্যগুলোর তুলনায় কম।
শীতকালীন বাজারে গোশতের মধ্যে হাঁসের চাহিদা একটু বেশি। সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালে মুরগির তুলনায় হাঁস একটু বেশি বিক্রি হয়। অন্যদিকে সোনালী কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। বয়লার মুরগি কেজি ১৬০ টাকা। আর গরুর গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। হাঁস ও মুরগির ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, হাঁসের পিস ও কেজি হিসেবে বিক্রি হয়। হাঁসের কেজি ৪০০ থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত আছে। এটা হাঁসের ওজন ও জাতের ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে।
সেগুনবাগিচা বাজারে মাছ ক্রয় করতে আসা আরিফ বলেন, এই দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে সেটা আর কমে না। বরং দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু আমাদের আয় তো সেভাবে বাড়ে না। ফলে, আয়ের সঙ্গে মিল রেখে চলতে গিয়ে মাছ-গোশত খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগে সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার ইলিশ বা গোশত খাওয়া হতো। এখন সেটা মাসে একবার বা দুইবারে বেশি সম্ভব হয় না। গতকাল মাস শুরুা প্রথম শুক্রবার। অফিসের বেতন হয়েছে, তাই শখ করে ১২ শত টাকা দিয়ে একটা ইলিশ ক্রয় করেছি। কিছু সবজি কিনে বাড়ি ফিরছি। আর অন্য মাছ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। এদিকে কয়েক মাস ধরে চিনির চড়া দামে এখনো অস্বস্বিতে বিক্রেতারা। তারা বলছেন, প্রায় দুই মাস ধরে বাজারে চিনির সঙ্কট। পাইকারি বাজারে পাওয়া গেলেও কিনতে হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা চিনির কেজি ১০২ এবং মোড়কজাত চিনির কেজি ১০৭ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এরপরও বেশিরভাগ জায়গায় চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও পাওয়া গেলেও ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে। একই দরে বিত্রি হচ্ছে খোলা চিনিও। তবে এর চেয়ে অনেক বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে আখের লাল চিনি। মোড়কজাত এ ধরনের চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।