মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের শিনজিয়াং প্রদেশের হোতানে এক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একদল শিক্ষার্থী আনন্দের সঙ্গে চাকরির দক্ষতা বাড়াতে মান্দারিয়ান ভাষা শিখছে। শুধু তা-ই নয়, তারা বিভিন্ন শখ পূরণের অংশ হিসেবে খেলাধুলা ও ঐতিহ্যগত নাচেরও চর্চা করছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হলো এখানে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কোনো কিছুই ঘটছে না। চলতি বছরের শুরুর দিকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকারের যে বিভাগটি শিনজিয়াং প্রদেশের হোতান নামের ওই জায়গার দায়িত্বে রয়েছে তারা শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত তেমন কোনো কিছুই কেনেনি। বরং তারা এমন সব যন্ত্রপাতি কিনেছে যেগুলো দমন-পীড়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ তাদের কেনা উপকরণের মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ৭৬৮টি পুলিশের লাঠি, ৫৫০টি ইলেকট্রিক লাঠি, ১ হাজার ৩৬৭টি হাতকড়া ও ২ হাজার ৭৯২টি পেপার স্প্রের ক্যান। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই শিনজিয়াং প্রদেশের স্থানীয় সরকার এ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিয়ে নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত কাজের জন্য অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কয়েক হাজার চিঠিও পাঠিয়েছে। যেগুলো বার্তা সংস্থা এএফপির হাতে এসেছে। একই সঙ্গে মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, চীন এখানে কোনো শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলেনি। বরং পুনঃশিক্ষার নামে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম স¤প্রদায়কে এখানে জোর করে আটকে রেখেছে। তবে চীন শুরু থেকে বিষয়টি অস্বীকার করে এলেও জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আটকে রাখার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তবে তারা উইঘুর মুসলিমদের ওপর কোনো ধরনের দমন-পীড়নের কথা অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে প্রপাগান্ডা হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, ওইসব কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষা ও চাকরির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদ, সহিংসতা ও ধর্মীয় চরম পন্থা অবলম্বনের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এএফপি টেন্ডার ও বাজেট-সম্পর্কিত চীন সরকারের দেড় হাজারের বেশি অফিশিয়াল নথির হদিস পেয়েছে, যেগুলো থেকে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, আসলে সেটা স্কুল নয়, জেলখানা। চীন সরকারের কথিত ওই শিক্ষাকেন্দ্রের চারপাশে হাজার হাজার প্রহরী টিয়ার গ্যাস, টেসার, স্টানগান, তীক্ষ্ন লাঠি নিয়ে তাদের ‘শিক্ষার্থীদের’ পাহারা দিচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, নথি অনুযায়ী কেন্দ্রটি রেজর তার ও ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে। এএফপির পাওয়া এক নথিতে শিনজিয়াং প্রদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি চেন কুয়ানগুয়ে বলেছেন, এ কেন্দ্রে স্কুলের মতো শিক্ষা দেয়া উচিত। এছাড়া সেনানিবাসের মতো ব্যবস্থাপনা ও জেলখানার মতো রক্ষা করা দরকার। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।