সাটুরিয়া উপজেলার আখি আক্তার নামের এক মাদরাসা ছাত্রীকে দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুরে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।
গত শনিবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর এলাকায় ফসলের ক্ষেতে সেচ কাজে ব্যবহৃত ডিপ টিবয়েলের পরিত্যাক্ত পাকা ঘর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সে সময় অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করা হলেও পরে গত সোমবার তার পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহত কিশোরী আখি আক্তার (১২), সে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনে মেয়ে।
আখির জন্মের আগেই তার বাবা আবুল হোসেন মারা যাওয়ায় সে তার মা সেলিনা বেগমের সাথে নানা বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামে থাকতো। সে একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করে।

সোমবার নিহত আখির মা সেলিনা বেগম মেয়ের পরা মিষ্টি গোলাপি রঙের সেলোয়ার ও কামিচের কিছু অংশ এবং মুখ দেখে আখির লাশ সনাক্ত করে। দৌলতপুর থানার ওসি সুনীল কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আখির খালা রেবেকা জানান, আখির মা সেলিনা বেগম তার আরও দুই বোনের সাথে সাভারের হেমায়েতপুরে ভাড়া বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। কয়েক দিন আগে আখিকে নিজের কাছে এনে রেখেছিল সেলিনা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে সাটুরিয়ার দিঘুলিয়া যাওয়ার জন্য আখিকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে তুলে দেয়া হয়। সেলিনার এক বোন জামাই শাহাদৎ আখিকে বাসে তুলে দেয়। এরপর থেকে আখি নিখোঁজ ছিল। দৌলতপুরে কিশোরীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তারা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাাতালের মর্গে এসে আখির লাশ সনাক্ত করে। লাশের শরীরের ৮০ ভাগ ঝলসানো ছিল।
এ ঘটনায় শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

আখির নানা খোরশেদ আলী জানায়, তার আরেক মেয়ের জামাই শাহাদাৎ সাটুরিয়ার দিঘুলিয়া যাওয়ার জন্য আখিকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে তুলে দেয়ার জন্য বাসা থেকে নিয়ে আসে। তার পর থেকে আখির খোজ পাওয়া যায় নি। শাহাদাৎ এর মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে। তার বাড়ি দৌলতপুরে। আমরা সন্দেহ করছি এ হত্যার সঙ্গে সাহাদাৎ জড়িত রয়েছে।
দৌলতপুর থানা ওসি সুনীল কুমার কর্মকার জানান, পড়নের সেলোয়ার, কামিচের পুড়া কিছু অংশ এবং মুখমন্ডলের আকৃতি দেখে আখিঁকে সনাক্ত করেছে তার মা। মায়ের কাছে আখিঁর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। আর আখির হত্যার বিষয়টি তদন্ত চলছে।