পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
অর্থনীতি, সামরিক এবং পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকা সা¤প্রতিক বছরগুলোতে অনেক বেড়েছে। বিশালাকৃতির অর্থনীতিকে ব্যবহার করে চীন বিশ্ব অর্থনীতির উপর প্রভাব তৈরি করছে। সমন্বিত সমৃদ্ধির যে নীতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট শি কাজ করছেন, সেটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রেসিডেন্ট শি’র একক প্রতীকী পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিআরআইয়ের সুফল সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট শি নিজেই প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং এর বিস্তারের জন্য বিশ্বময় ভ্রমণ করছেন। অনেকটা চীনের ‘প্রধান কূটনীতিকের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। বিআরআইকে সফল করার জন্য প্রেসিডেন্ট শি’এর অধীন চীন কোন চেষ্টাই বাকি রাখছে না।
বিআরআইয়ের অধীনে অনেক কর্মসূচি ও প্রকল্প চালু করেছে চীন। আঞ্চলিক শক্তি ও রাজনৈতিক কারণে কিছু প্রকল্প নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। একটা বড় উদাহরণ হলো চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি)। সেই সাথে রয়েছে বাংলাদেশ চায়না মিয়ানমার অ্যান্ড ইন্ডিয়া (বিসিএমআই) এবং আফ্রিকার কিছু পদক্ষেপ। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোকে সিপিইসিকে বিতর্কিত করার সব রকম চেষ্টাই করে যাচ্ছে। এ জন্য তারা বিদ্যমান সমস্যাগুলোর দিকে বেশি জোর দিচ্ছে।
আফগানিস্তান ইস্যু দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের একটি সমস্যা। প্রায় চার দশক ধরে দুর্দশার মধ্যে আছে আফগানিস্তান। যুদ্ধ সেখানে একটি স্থায়ী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সমাজের সকল পর্যায়ে এর প্রভাব পড়ছে। খাদ্য নিরাপত্তা কমছে। দারিদ্রের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। পরিবেশ বিপর্যয় আরেকটি বিষয় যেটা এই জাতির জন্য মারাত্মক সমস্যা তৈরি করেছে। ভবিষ্যতে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি আফগানিস্তানের জন্য বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। আফগানিস্তানে সমস্যার এই তালিকা অনেক দীর্ঘ।
আফগানিস্তানে দারিদ্রের মাত্রা অনেক। এক হিসেবে ৪২ শতাংশ আফগান দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে। ২০ শতাংশের অবস্থান দারিদ্রসীমার চরম নিচে। এর অর্থ হলো, যে কোন আঘাতের মোকাবেলায় এই ২০ শতাংশের অবস্থা খুবই দুর্বল। কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় এদের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা সঙ্কট আরেকটি প্রধান সমস্যা। জনসংখ্যার অধিকাংশকেই আমদানিকৃত খাবারের উপর নির্ভর করতে হয়। সেই খাবার কেনার আবার সামর্থ্যও নেই অধিকাংশের। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অবস্থাও সন্তোষজনক নয়।
হার্ট অব এশিয়াসহ আফগানিস্তানের জন্য গঠিত অন্যান্য গ্রুপের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করছে চীন। তবে, এখানে হয়তো চীনকে তাদের গতি বদলাতে হবে। তাদেরকে আরও সক্রিয়ভাবে নতুন কর্মসূচি নিয়ে আসতে হবে। সুখের কথা হলো চীন সেটা শুরু করেছে। আফগানিস্তানের জন্য তারা বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছে এবং আফগানিস্তানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তার চেষ্টা করছে। কোমল ও শক্ত অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে সহায়তা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা করছে তারা। গঠনমূলক পক্ষ হিসেবে এতে চীনের অবস্থান সংহত হচ্ছে। সূত্র : এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।