মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিব্বতে বিশাল পাহাড়ি ধসের ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে আকস্মিক বন্যায় ভেসে যেতে পারে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। চীনের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। এই ধসের খবর পাওয়ার পরই অরুণাচল প্রদেশের প্রশাসনকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং -এর জেলাশাসক ডুলি কামডুক বলেন, টুটিং-এর কাছে পানির স্তর ২ মিটারের বেশি নেমে যায়। তখনই আমরা সন্দেহ করেছিলাম, নদীর উজান পথে কোথাও বাধার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার চীনের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের কাছ থেকে রিপোর্ট এসেছে, ধসে নদীর গতিপথ আটকে গেছে। চীনের পাঠানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদীর গতিপথ বিশাল পাহাড়ি ধসে আটকে গেছে। তার ফলে আচমকা তৈরি হয়ে গেছে বিশাল এক হ্রদ। প্রায় ১৩০ ফুট উঁচু হয়ে পানি জমে রয়েছে সেখানে। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে পানির স্তর। যেকোনো সময় সেই বাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে দিতে পারে অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা।
তিব্বতের এই ইয়ারলুং সাংপোই অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নামে প্রবাহিত। সিয়াং আরো নিচে নেমে এসে আসামে নাম নিয়েছে ব্রহ্মপুত্র। অরুণাচল প্রদেশের বিধায়ক নিনং এরিং বলেন, নদীর দু’পারে গ্রামগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে, তারা যেন নদীর কাছে না আসেন। টুটিং, ইঙকিয়ং এবং পাসিঘাটের মতো শহরগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। বন্যার আশঙ্কার পাশাপাশি পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়েছে নদী দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায়।
বুধবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত । ভারত-চীন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে লিংজি বলে একটি জায়গায় ইয়ারলুং সাংপোর গতিপথে হঠাৎ করেই ধস নামে। পাহাড়ি উপত্যকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর মাঝখানে ধসে পড়ে পাহাড়ের একাংশ। সেই ধসে নদীর গতিপথে কার্যত একটা বাঁধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে নদীর পানি পুরোপুরি আটকে নিচের দিকে নামা বন্ধ হয়ে যায়। গতিপথের পিছন দিকটা সুবিশাল হ্রদের আকার নিয়ে নেয়। আর হ্রদের নিচের দিকে অর্থাৎ যেখানে ধস নেমেছে তার পরবর্তী অংশে শুকিয়ে গেছে নদী। চীনের এমার্জেন্সি সার্ভিসেস জানিয়েছে, উপর থেকে পানি নামছে। অথচ সেই পানি নদীপথ ধরে নিচে নামতে পারছে না। ফলে, ক্রমেই বাড়ছে ওই হ্রদের পানির স্তর। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই লেকের পানির স্তর দাঁড়িয়েছে ৪০ মিটার বা ১৩০ ফুটেরও বেশি। কিন্তু ধসের ওই আলগা দেয়াল যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। সেই সময় বিশাল পানিরাশি ধেয়ে আসবে নিচের দিকে। সেই বিপদের আশঙ্কাতেই ইয়ারলুং ছাংপো নদীর দুই তীর এবং আশপাশের প্রায় ৬ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে তিব্বতের স্থানীয় প্রশাসন। নদী সংলগ্ন এলাকায় যাতায়াতের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আকস্মিক বন্যার সঙ্গে ভূমিকম্পের আশঙ্কাও বাড়ছে। কারণ, এ বছরের গোড়ার দিকে একইভাবে নদীপথ ধসে আটকে যাওয়ার পর তিব্বতে একের পর এক ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছিল। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।