নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কখনো বাড়তি বাউন্স, তো কখনো হুট বল হয়ে যায় নিচু। মাঝে মাঝে ব্যাট করার জন্য থাকে আদর্শ, আবার ইনিংসের মাঝপথেই উইকেট হয়ে যায় মন্থর। ক্ষণে ক্ষণেই রূপ বদলানো মিরপুরের উইকেট মেজাজ মর্জি ঘরের দল হয়েও দুর্বোধ্য বাংলাদেশের কাছেও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে অধিনায়ক চাইলেন একটি চলনসই উইকেট। অন্তত রান যেন ছাড়াতে পারে আড়াইশ। গেল জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় কাপে জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কাকে দাপটের সঙ্গে উড়িয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। স্কোর করতে পেরেছিল তিনশো ছাড়ানো। ফাইনালের আগে ওই মাঠেই গুটিয়ে গেছে একশো রানের ভেতর। ফাইনালেও মন্থর উইকেট তালগোল পাকিয়ে ট্রফি খুইয়েছে বাংলাদেশ।
নিজেদের মনমতো উইকেট বানিয়ে সব দলই ফায়দা তুলে ঘরের মাঠে। কিন্তু মিরপুরে খেলা হয় বাংলাদেশের চিন্তা থাকে উইকেট নিয়েই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেও ঘুরেফিরে এল উইকেটের কথা। উইকেট নিয়ে নিজেদের দ্বিধা অকপটেই জানিয়েছেন অধিনায়ক, ‘মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করা খুবই কঠিন, আমরা সবাই জানি। মিরপুরের উইকেট ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ শুরু করে। আগে থেকে বলা খুবই কঠিন হবে। তবে প্রত্যাশা তো অবশ্যই করছি, সাধারণত ২৫০-৬০ রান হলে ম্যাচ ভাল হয়, আগে ব্যাট করা দলের জেতার সুযোগ বেশি থাকে। ’
উইকেট মন্থর হলে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার মতো রসদ মজুদ আছে বাংলাদেশ দলে। তবে শুরুতেই এমন প্যাচপ্যাচে উইকেট চাইছে না বাংলাদেশ, ‘শুরুতেই যে টার্ন হবে, এমন আশা অবশ্যই করছি না। ভাল উইকেটে খেলতে চেয়েছি, এখন ভাল উইকেট হলেই হয়। কিন্তু মিরপুরের উইকেট তো, আগে থেকে অনুমান করা একটু কঠিন। কি জন্য? হঠাত করেই আচরণ বদলে ফেলে। আপনারাও দেখেছেন হঠাত করে টার্ন বা বল নিচু হয়ে আসছে। তখন কিন্তু যারা ব্যাটিং করছে তাদেরও চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ব্ইারে যারা থাকে তাদেরও পরিকল্পনা বদলাতে হয়।’
চিরচেনা মাঠের উইকেটের অনিশ্চিত চরিত্র কোনো অজুহাত হতে পারে না মাশরাফির কাছে। অধিনায়ক চান, উইকেটের চরিত্র বুঝে সেই অনুযায়ী ক্রিকেট খেলুক তার দল, ‘আমার মনে হয় না, এখানে আমাদের মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হবে। চট্টগ্রামে সাধারণত ব্যাটিং উইকেট হয়, যদি না আপনি টার্নিং উইকেট তৈরি করেন। মিরপুরের উইকেট তেমন না, অনেক সময়ই দ্বিতীয় ইনিংসে অন্যরকম আচরণ শুরু করে। তবে আমি মনে করি, এতদিন এখানে খেলার পরে এমন কোনো অজুহাত না দেয়াই উচিত। তবে এখানে আমরা ২৫০/২৬০ রান করতে পারলে ওদের জন্য কঠিন হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।