নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগামী বছর ইংল্যান্ডে শুরু হবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এর আগেই বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি ট্যুরের অংশ হিসেবে ঢাকায় আসে চারদিন আগে। ঢাকা, সিলেট হয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে ১১ কেজি ওজনের বিশ্বকাপ ট্রফিটি আসে গতকাল। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এটি এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নিয়ে আসেন বিসিবির কর্মকর্তারা। স্টেডিয়ামের জিমন্যাশিয়াম সংলগ্ন টেনিস কোর্টে লালগালিচায় স্থাপিত মঞ্চে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ইউনিসেফের উদ্যোগে নগরীর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ট্রফিটি প্রদর্শন করা হয়। এরপর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলে স্বপ্নের সোনালি ট্রফিটি দেখতে স্টেডিয়াম পাড়ায় ভিড় করেছেন ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। লাইনে দাঁড়িয়ে দর্শকরা ট্রফিটি দেখেছেন। অনেকে স্বপ্নের ট্রফি সামনে পেয়ে তুলেছেন সেলফি। তাদের চোখে-মুখে ছিল উচ্ছাসে ভরা। দুপুর সাড়ে ১২টায় সিটি মেয়র ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ট্রফিটি দেখতে আসেন। এরআগে সকাল ১১টায় আসেন চট্টগ্রামের জাতীয় দলের সাবেক দুই খেলোয়াড় নাফিস ইকবাল ও আফতাব আহমেদ।
এ দুই খেলোয়াড় ফটোসেশনে অংশ নেন। নাফিস ইকবাল তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এ ট্রফিটি এমন সময়ে এসেছে যখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক এগিয়েছে এবং খেলোয়াড়রাও ট্রফি দেখে অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছে। ক্রিকেটে আমাদের অবস্থান এখন ভালো। আগামী বিশ্বকাপ আমরা ঘরে তুলতে না পারলেও এর পরের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে ইনশাআল্লাহ। চট্টগ্রামের সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় আফতাব আহমেদ বলেন, ট্রফিতে হাত লাগাতে পেরে বেশ খুশি লাগছে। বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতো আরো বেশি ভালো লাগতো। তারপরও ট্রফিটি আসায় ইয়ং জেনারেশনের ক্রিকেটাররা বেশ অনুপ্রেরণা পেয়েছে। বিশ্বকাপ ট্রফি দেখতে আসা কাজির দেউড়ির বাসিন্দা নাসিরাবাদ স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র বেলাল বলেন, টিভির পর্দায় বিশ্বকাপ ট্রফি দেখেছি। কিন্তু সামনাসামনি দেখিনি। এখন তা দেখে বেশ খুশি লাগছে। বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপ জেতে তাহলে খুবই আনন্দ লাগবে। এছাড়া জাতীয় দলের সাবেক দুই খেলোয়াড় নুরুল আবেদীন নোবেল ও শহীদুর রহমান ট্রফির সামনে হাজির হন। একে একে আসেন বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও বিসিবি মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ আলী আব্বাস, সিজেকেএস’র বিভিন্ন কর্মকর্তা, ক্রীড়া সংগঠকসহ অন্যান্য ক্রীড়ামোদীরা। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ছিল চট্টগ্রামের বিভিন্ন একাডেমীর ছাত্র। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দর্শকদের ভিড় বাড়তে থাকে। এভাবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শকরা কাক্সিক্ষত ট্রফিটি দেখেন। বাংলাদেশ থেকে ট্রফিটি নেপাল নিয়ে যাওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।