নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সবকিছু ঠিক থাকলে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের সবচেয়ে আসর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। ফাইনালের মধ্যদিয়ে এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে ১৬ অক্টোবর। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে গতকাল মালদ্বীপে সাফের লোগো ও ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন,‘স্বাগতিক মালদ্বীপ আমাদের নির্দেশনা অনুসরণ ও আলোচনা করেই লোগো এবং ট্রফি উন্মোচন করেছে। টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াতে আর বেশি সময় বাকি নেই। স্বাগতিক মালদ্বীপ ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে, তাদের নানা প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।’
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অফ মালদ্বীপ (এফএএম) টুর্নামেন্ট শুরুর দিন সাফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে চায়। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি ও ম্যাচের আগে দলগুলোর অনুশীলনের কথা বিবেচনা করে মাত্র ৯ মিনিটের একটি সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানান সাফ সাধারণ সম্পাদক হেলাল।
সাফের ১৩তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। একই দিন দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের প্রতিপক্ষ নেপাল। পাকিস্তান ও ভূটান না থাকায় এবার পাঁচ দেশকে নিয়ে হচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। খেলা হবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনালে। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া পাঁচ দেশের মধ্যে চার বিদেশি দলের ২৮ সেপ্টেম্বর মালেতে পৌঁছানোর কথা।
এবারের সাফ বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জই। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলা হওয়ার কারণে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে সেরাটাই মাঠে ঢেলে দিতে হবে লাল-সবুজের ফুটবলারদের। শিষ্যদের প্রস্তুত করতে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সাফের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবেন জাতীয় দলের ব্রিটিশ প্রধান কোচ জেমি ডে। সাফে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যর্থ বাংলাদেশ। এবার আক্ষেপ ঘোচাতে টুর্নামেন্টে নিজেদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে তারা। ক’দিন আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন কোচ জেমি। এখন পর্যন্ত সাফের ১২টি আসরের মধ্যে মাত্র তিনবার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে জামাল ভূঁইয়া বাহিনী। ২০০৯ সালের পর তো চার আসরে গ্রুপ পর্বই টপকাতে পারেনি তারা। সাফের একমাত্র শিরোপাটি লাল-সবুজরা জিতেছে ১৮ বছর আগে। ২০০৩ সালে ঢাকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০০৫ সালে পাকিস্তানে তারা রানার্সআপ হয়েছিল। অবশ্য এর আগে ১৯৯৯ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে প্রথমবার রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। তবে বাকি আসরগুলোতে অনুজ্জ্বল থাকায় এবার সব ব্যর্থতা কাটানোর লক্ষ্য তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।