বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিকল্পধারা থেকে বহিষ্কৃতদের মাধ্যমে শীর্ষ নেতাদের বহিষ্কার করা হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন একাংশের যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি. চৌধুরী। তিনি বলেন, যারা বিকল্পধারা নামে নতুন দল গঠন করেছেন তারা বিকল্পধারার কেউ নন। কারণ তাদেরকে এক মাস আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। সুতরাং বিকল্পধারার নামে দল গঠন ঘৃণিত ও হাস্যকর। এর পিছনে একটি বড়ো রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় তিনি বারিধারায় বি. চৌধুরীর বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মাহি বলেন, বিকল্পধারার বহিষ্কৃত নেতা শাহ আহাম্মেদ বাদল বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর একজন কর্মচারী। সেখান থেকে হয়ে থাকলে এটা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে আগেই বলেছি, স্বাধীনতাবিরোধীদের ছাড়লে এবং ভারসাম্যের রাজনীতি মেনে নিলে তাদের সাথে ঐক্য করতে আমাদের কোনা আপত্তি নেই। এখনো বিএনপির ৭০/৮০ ভাগ মানুষ স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে ঐক্যের বিরোধী। আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহৎ ঐক্য চাই। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ন্যাপ এবং এনডিপি যুক্তফ্রন্টে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। আরো অনেক দল এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তি আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন।
মাহী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে জোট করেছে, সে সময় থেকে বিএনপিতে ভাঙ্গনের সূত্রপাত। বি চৌধুরী ৭ মাস প্রেসিডেন্ট থাকার পর পদত্যাগ করেন। ২০০৪ সাথে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেন মেজর মান্নান ও মাহী বি . চৌধুরী। তারপর কর্ণেল অলির নেতৃত্বে মন্ত্রী এমপিসহ আরো পদত্যাগ করেন ৩০/৩৫ জন। এরপর বিএনপির মহাসচিব মান্নান ভূইয়ার নেতৃত্বে সব ভাঙনই হয় স্বাধীনতাবিরোধীদের জোটে নেওয়ার কারণে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইউসুফ, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রউফ মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান ঝান্টু প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।