পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশ যে বক্তব্য দিয়েছে তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিপ্রকাশ এমনটাই বলেছেন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, দেশের চরম সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে যে জাতীয় ঐক্য করা হচ্ছে তা কোন দলকে বা ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। এ ঐক্য হচ্ছে জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য এবং মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে যারা এই ঐক্য থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে তারা সরকারের দোসর হিসেবে জাতির কাছে বেঈমান চিহ্নিত হবে। ভভিষ্যতে তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
এ বিষয়ে এলডিপি’র সভাপতি ড. কর্ণেল (অব) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেন, এ ব্যাপারে আমি প্রথম থেকে বলে আসছিলাম। যাদের দুটি আসন নেই তারা ১৫০ আসন দাবি করে। আসলে তাদের দাবিগুলো যে কোন উদ্দেশ্য প্রণোদিত সে সন্দেহ প্রথম থেকে ছিল, এখন সেটা স্পষ্টতই বোঝা গেল। বি চৌধুরী সাহেব আজ জামায়াতকে বাদ দেয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। অথচ তিনি জামায়াতের সঙ্গে একই মন্ত্রী সভায় বসেছেন। তাদের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। আর এখন জামায়াতকে বাদ দেয়া জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। তিনি গোস্ত খাবেন আর ঝোলকে হারাম বলবেন এটা কি করে হয়। লেখক গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ একটি বেসরকারি টিভির টকশোতে বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাহেব ঐক্য জোটে থাকবেন কি থাকবেন না এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে তিনি ঐক্যে থাকা না থাকা নিয়ে যে শর্তের কথা বলছেন তা অযৌক্তিক। তিনি জামায়াতের সাথে ্কত্রে মন্ত্রীত্ব করেছেন। এরপর তাদের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এ ছাড়া তাদের দল বিকল্পধারার বর্তমান যিনি মহাসচিব তারওতো মুক্তিযুদ্ধের সময় কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ। এ অবস্থায় তার যে বক্তব্য এটা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়না এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক বলেই মনে হয়।
সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ তার ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বি’চৌধুরীর কাছে প্রশ্ন রেখেছেন। তিনি বলেছেন, আপনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিচ্ছিন্ন কেন হয়ে গেলেন তা নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন রয়েছে। আপনার বক্তব্যে দু’টি বিষয় আমার নজরে এসেছে। একটি হচ্ছে জামায়াত ও দ্বিতীয়টি এককভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় না আনা। স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্যে বিকল্প ধারা যাবে না-তাদের এমন অবস্থানের জবাবে গত ২৮ সেপ্টেম্বর অলি বলেন, যত লোককে নিয়ে পারা যায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া ভালো। ডা. বদরুদ্দোজা সাহেব যখন বিএনপির মহাসিচব ছিলেন তখন কিন্তু মসুলিম লীগের শাহ আজিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, জয়পুরহাটের আব্দুল আলীম যিনি সাজাপ্রাপ্ত তিনি রেলমন্ত্রী ছিলেন। এ ধরনের অনেকেই বিএনপিতে ছিল। বদরুদ্দোজা সাহেব তাদের মহাসচিব ছিলেন। তাহলে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বক্তব্যের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে কেন? মাংস হালাল আর ঝোল হারাম এটা কেন? মহাসচিব থাকা অবস্থায় সব রাজাকার ভালো ছিল আর যখন ক্ষমতায় নেই তখন তারাই রাজাকার তারাই দেশদ্রোহী এ ধরনের বক্তব্য ঠিক না। এবং বি. চৌধুরী সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন তখন তো মুজাহিদ এবং নিজামী সাহেব মন্ত্রিসভার সদস্য ছিল, আমি তো সেদিন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলাম না, বদরুদ্দোজা সাহেব তো রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ..মোস্তফা ফিরোজ প্রশ্ন করেন, কখনো আপনি মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা বিরোধী অথবা ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন না। অন্ততঃ আপনি রাষ্ট্রপতি হবার আগে কিছু সাংবিধানিক ক্ষমতা নিয়ে যদি ওই পদে যেতেন তা’হলেও এতো অপমানজনকভাবে আপনার বিদায় হতো না।
জাতীয় ঐক্য থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বিকল্পধারার বক্তব্যের বিষয়ে ২০দলীয় জোটের শরিকদল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, বিকল্পধারা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার ঐক্যের নেই বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক। বর্তমানে যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হয়েছে তা বিএনপিকে বা কোন দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়। এই ঐক্য ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার ঐক্য। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, বিচার ব্যবস্থা ধংসের মুখে। হামলা মামলা, গুম খুন চলছে। এই চরম দুঃসহ দুঃশাসন থেকে মুক্তির লক্ষে এই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হয়েছে। আজ গোটাদেশ একদিকে আর আওয়ামী লীগ সরকার একদিকে। তাই বৃহত্তর ঐক্য থেকে যারা সরে যাবে তারা নিজারাই হারিয়ে যাবে। বিকল্পধারা আজ যে কথা বলছে এটা আওয়ামী লীগের কথার সাথে মিলে যায়। তাই দেশের মানুষ তাদেরকে সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করবে। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে যারা ঐক্য থেকে দূরে থাকবে তারা ভবিষ্যতে ইতিহানের আস্তাকুড়ে হারিয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।