Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বসবাস ভারতে,খাবার চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

খাতা-কলমে ভারতের নাগরিক। থাকেন উত্তরাখন্ডের বৈস্য উপত্যকার ধরচুলা গ্রামে। কিন্তু তাদের জীবনযাত্রার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আসে চীন থেকে! বছরের পর বছর ধরে এই নিয়মেই দিন পার করছে গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামে প্রায় চারশ’ পরিবার। প্রত্যেকের অভিযোগ, রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার গ্রামের নাগরিকদের প্রতি এতটাই উদাসীন যে সেখানে রেশনের দোকান থাকলেও তাদের জন্য বরাদ্দ সামগ্রীর পরিমাণ অতি অল্প। ফলে নেপাল ঘুরে যে চীনা পণ্য আসে, তারা সেটাই কিনতে বাধ্য হন। শুধু ধরচুলাতেই নয়, উপত্যকার সীমান্তবর্তী সব আদিবাসী গ্রামেই ঠিকমতো রেশন দিচ্ছে না ভারত। বাধ্য হয়ে সীমান্তের কালি নদীর ব্রিজ পার হয়ে নেপালের টিঙ্কার ও ছাংরু মার্কেটে গিয়ে চাইনিজ খাবার কিনে আনছেন গ্রামবাসীরা। বৈস্য উপত্যকার আদিবাসী নেতা কৃষ্ণা গারবিয়াল বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী রাজ্য সরকার রেশন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই রেশনের অভাবে গ্রামবাসী নেপালের মার্কেট থেকে চীনা খাবার কিনে এনে খাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘উপত্যকার মাটিতে ঠিকমতো ফসল হয় না। তাই গ্রামবাসীকে সরকারের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। অনাথের মতো বাস করছি। রাজ্য যে রেশন দেয়, সেটায় মাস চলে না। চীনা পণ্যই আমাদের ভরসা। চাল, ডাল, তেল এমনকি সাবানও আমরা চীনের থেকেই কিনি। শুধু আমাদের গ্রাম নয়, আশপাশের আরও সাতটি গ্রামেও একই অবস্থা।’ নবিয়াল নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘সরকার পরিবারপ্রতি ২ কিলোগ্রাম চাল আর ৫ কিলোগ্রাম গম দেয়। এতে কখনও সংসার চলে? তুলনায় চীনা পণ্যের জোগান অফুরন্ত। দামেও সস্তা। তাই সেগুলোই কিনি।’ গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, একে তো রেশনের পরিমাণ অল্প, তার ওপর নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায় না। শেষ রেশন পেয়েছিলেন বর্ষার আগে। হিন্দুস্থান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাগরিক

১৫ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ