পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার জনগণ নির্বাচন না পাওয়া পর্যন্ত দেশটির সঙ্গেই থাকবেন বলে ঘোষণা দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি বলেন, যখনই সিরীয়রা নির্বাচনের সুযোগ পাবেন, আমরা নির্বাচনের পর সিরীয়দের কাছে সব ছেড়ে চলে যাবো। আফরিনসহ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চেলের কুর্দি অধ্যুষিত এলাকা থেকে ২০১২ সালে সেনা প্রত্যাহার করে নেন আসাদ। এরপর ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টির (পিওয়াইডি) কুর্দিরা ওই সময় এলাকাটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। তারপর ওই অঞ্চল থেকে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে বিতাড়িত করে কুর্দিদের সশস্ত্র বাহিনী ওয়াইপিজি। আর তুরস্ক আফরিন থেকে ওয়াইপিজিকে বিতাড়িত করতে চায় কারণ তারা বাহিনীটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তবে এবার কুর্দিদের সরাসরি সেনা সহায়তা দেওয়ায় তুরস্কের মুখোমুখি হয়ে পড়ে আসাদবাহিনী। গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এরদোগানও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সেনামুক্ত অঞ্চল গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। সোচিতে এক সম্মেলনে ১৫-২০ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে এই অঞ্চল গঠনের কথা বলেন দুই নেতা। আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির শ্যামকে সন্ত্রাসী বিবেচনা করে তুরস্ক। তারাও ইদলিবে বেশ সক্রিয়। তবে এরদোগান বলেন, ইদলিবে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের সঙ্গে আলোচনায় কোনও সমস্যা নেই তাদের। ইদলিবে ১২টি নজরদারি পোস্ট বসিয়েছে তুরস্ক। রাশিয়া বসিয়েছে ১০টি ও ইরান ছয়টি। এরদোগান বলেন, সীমান্ত নিরাপদ রাখা মানে হচ্ছে ইদলিব নিরাপদ রাখা। আনাদোলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।