নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টানা তিন ম্যাচ কোন জয়ে নেই। বার্সেলোনা জুড়ে হাহাকার। ইংলিশ গণমাধ্যমের মতÑ এটাই বার্সার মুখোমুখি হওয়ার সেরা সময়। ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিন্স লিগের সেই ম্যাচে টটেনহাম হটস্পারকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সা। সেই ইংলিশ গণমাধ্যমই ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসিকে দিয়েছেন ‘ওয়েম্বলি মাস্টারপিস’ আখ্যা।
ইংলিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মেসির ঝলসে ওঠার সাক্ষি এর আগেও হয়েছে ওয়েম্বলি। ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইইনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারানোর ম্যাচে ইংল্যান্ডে প্রথম গোল করেন মেসি। পরশু করেছেন দুটি, বাকি দুটির উসৎস্থলও ছিল তার বিশ্বস্থ বাঁ-পা। এ নিয়ে ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে ২২ গোল ও ৬ বার গোলে সহায়তা করলেন আর্জেন্টাইন তারকা। যে কোন দেশের ক্লাবের বিপক্ষে যা সর্বোচ্চ।
কি করেননি এদিন ফুটবল জাদুকর। অসাধারণ ড্রিবলিংয়ে ইংলিশ ক্লাবকে তটস্থ রাখা, প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নেয়া, পরিস্কার গোলের সুযোগ তৈরি করা, গোল পোস্টে ছয়টি শট। মেসি-কুতিনহো-আলবা-সুয়ারেজদের অসাধারণ রসায়নে ফিলিপ কুতিনহো ও ইভান রাকিটিচের গোলে ২-০তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সা। ফিরে আসার পর চার মিনিটের মধ্যে দুবার পোস্টে লেগে ফেরে মেসির শট। এর দুই মিনট পর ব্যবধান কমান হ্যারি কেইন। পরক্ষনেই ব্যবধান ৩-১ করে দেন মেসি। এরপর গা এলিয়ে দেয়া ভাব চলে আসে আর্নেস্তো ভালভার্দের দলের খেলায়। সেই সুযোগে ব্যবধান কমান এরিক লামেলা। স্কোরলাইনটা তখন ঠিক দুই দলের খেলার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে না। শেষদিকে তাই ব্যবধান বাড়ানো গোলটি করে পার্থক্যটা বুঝিয়ে দেন মেসি। রাঙিয়ে দেন সতীর্থ-বন্ধু জেরার্ড পিকের শততম ইউসিএল ম্যাচ। ম্যাচ শেষে স্পার্স কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনোর মন্তব্য, ‘এটা সব সময়ই কঠিন যখন আপনি মেসি-সুয়ারেজদের মত দলের বিপক্ষে খেলবেন।’
বি গ্রæপের অপর ম্যাচে আরেক আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দির গোলে পিএসভি আইন্দোভেনকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারায় ইন্টার মিলান। তাতে বার্সা ও মিলানের পয়েন্ট সমান ৬ করে হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে বার্সাই। পিএসভির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মেসি। দুই ম্যাচে এখন তার গোল ৫টি। দুই ম্যাচে হেরে বসা টটেনহাম কম গোল খাওয়ায় পিএসভির চেয়ে এগিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে।
আলাদা নজর ছিল সি গ্রæপে নাপোলি-লিভারপুল ম্যাচের দিকেও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসর যে ঘরোয়া লিগ থেকে আলাদা তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ইয়ুর্গুন ক্লপের শিষ্যরা। নাপোলসের ম্যাচে সফরকারীদের দাঁড়াতেই দেয়নি স্বাগতিকরা। গোল তো দুরে থাক পোস্টেই কোন শট রাখতে পারেননি সালাহ-ফিরমিনো-মানেরা। গত এক যুগে ক্লাবটির ইতিহাসে যে ঘটনা প্রথম। তবে জয়সূচক গোল পেতে শেষ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে নাপোলিকে। লরেঞ্জো ইনগাজির এই গোল তাদের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে তুলে দেয়। লিভারপুলের সমান ৩ পয়েন্ট পিএসজিরও। কিন্তু মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় দুইয়ে অল রেডরা। পিএসজি তিনে। এদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যুগে প্রথম খেলতে আসা রেড স্টার বেলগ্রেডকে অনুমিতভাবেই ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় প্যারিসের দলটি। ঘরের মাঠে বিশাল জয়ে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেন নেইমার। যার দুটিই আবার আসে ফ্রি-কিক থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক ম্যাচে দুটি ফ্রি কিক গোল করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় নেইমার। আগেরটি করেছিলেন তারই স্বদেশী সাবেক খেলোয়াড় কাকা। প্রথমার্ধেই টমাস টুখেলের দল এগিয়ে ছিল ৪-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে করে আরো দুটি। বাকি তিন গোল কাভানি, ডি মারিয়া ও এমবাপের।
এদিকে এ গ্রæপে টানা জয় পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে মোনাকোকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ডর্টমুন্ড। তবে নিজেদের মাঠে অ্যাটলেটিকোর জয় পেতে বেগ পেতে হয়েছে। যদিও ৩-১ ব্যবধানের স্কোরলাইন সেকথা বলে না। ক্লাব ব্রæগের বিপক্ষে ৬৭ মিনিট পর্যন্ত সমতায় থাকা তো তারই নামান্তর। শেষ পর্যন্ত অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের দ্বিতীয় গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ডিয়েগো সিমিওনের দল। যোগ করা সময়ে গ্রিজম্যানের সহায়তায় করা কোকের গোলে ব্যধান বাড়িয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যাটলেটিকো।
এক নজরে ফল
পিএসজি ৬ : ১ রেড স্টার
লোকোমতিভ ০ : ১ শালকে
অ্যাটলেটিকো ৩ : ১ ক্লাব ব্রæগ
টটেনহাম ২ : ৪ বার্সেলোনা
নাপোলি ১ : ০ লিভারপুল
ডর্টমুন্ড ৩ : ০ মোনাকো
পিএসভি-ইন্টার মিলান
পোর্তো ১ : ০ গ্যালাতাসারাই
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।