বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে আগত প্রায় ৯০ জন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ খুলনায় একই মঞ্চে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস নির্বাচনের শপথ গ্রহণ করেছেন। গতকাল নগরীর হোটেল সিটি ইনে এক জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে খুলনার রাজনৈতিক
নেতৃবৃন্দের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে “শান্তিতে বিজয়” ক্যাম্পেইনের আঞ্চলিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইউএসএআইডি এবং ইউকেএইড এর যৌথ অর্থায়নে এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ঝঃৎবহমঃযবহরহম চড়ষরঃরপধষ খধহফংপধঢ়ব (ঝচখ) প্রকল্পের আওতায় “শান্তিতে বিজয়” ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও সহনশীল রাজনীতির চর্চা বৃদ্ধিতে, ‘শান্তিতে বিজয়’ ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং সাধারণ জনগণকে সচেতন করবে ও তাঁদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি করবে। আজকের আঞ্চলিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খুলনার বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক সহনশীলতা ও স¤প্রীতির সমর্থনে একসাথে দাঁড়িয়ে সহিংসতার বিরুদ্ধে অঙ্গীকার করেছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘শান্তির মঞ্চ রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। ভোটাররা বলছেন, নির্বিঘেœ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চান। দেশকে এগিয়ে নিতে চান। খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি বলেন, গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক, এই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হোক। তবেই শান্তি জিতলে জিতবে দেশ এই আকাংখা পূরণ হবে।’ খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, আমাদের সবাইকে ধৈর্যশীল হতে হবে শান্তির জন্য।
এছাড়া শান্তিতে বিজয় ক্যাম্পেইনের এই আঞ্চলিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি এম. এ. সালাম, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান টুকু, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুণ এবং খুলনার সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।