নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের বরাবর বার্তা দিয়েই চলেছেন তুষার ইমরান। বয়স ৩৪ হয়ে গেলেও তার ব্যাটের ভাষা যে ২২ বছরের তরুণদের মত। গত মৌসুমে ৬ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ৯০.৬২ গড়ে ৭২৫ রান। এবারো সেঞ্চুরি দিয়ে ২০তম জাতীয় লিগ শুরু করা এই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসেও পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। তাতে একটা রেকর্ডও হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুইবার ম্যাচের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড। প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানের পর এবার অপরাজিত আছেন ১০০ রানে। জাতীয় দলের বাইরে থেকে নির্বাচকদের উদ্দেশে এর চেয়ে ভালো বার্তা আর কি হতে পারে!
তুষারের ব্যাটেই ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখছে খুলনা। মিজানুর রহমানের সেঞ্চুরির পর জহুরুল ইসলামের অপরাজিত ১৬৩ রানের সৌজন্যে ৫৫২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে রাজশাহী। ব্যাটসম্যান পরিচয় হলেও স্পিন ভেলকি দেখিয়ে ৬৬ রানে ৭ উইকেট তুলে নেন আফিফ হোসেন। ৩৪২ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা খুলনা ২ উইকেট হারিয়ে বসে ২৪ রানে। সেখান থেকে অবিচ্ছিন্ন ১৫৮ রানের জুটিতে তৃতীয় দিন শেষ করেন তুষার (১০০*) ও আনামুল (৭২*)। ফলোঅন এড়াতে এখনো করতে হবে ১৬০ রান। ম্যাচ বাঁচাতে আজও তুষারের দিকে তাকিয়ে থাকবে খুলনা।
তবে প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচ এগুচ্ছে ড্রয়ের দিকে। বগুড়ায় প্রথম ইনিংসে রংপরের ৫০২ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ৩৮৪ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বরিশাল। ১২৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন সোহাগ গাজী, তবে ব্যাক্তিগত ১৩০ রান নিয়ে আজ আবার ব্যাট করবেন ফজল মাহমুদ। পঞ্চম উইকেটে দুজনে গড়েন ২২৬ রানের জুটি।
এদিকে দেশের প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডের পথে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রনি তালুকদার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছেন আব্দুল মাজিদও। দুজনে মিলে ঢাকার হয়ে গড়েন ৩৫০ রানের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি। আগের রেকর্ডটি ছিল ৩৪১ রানের। ঢাকা মেট্রার বিপক্ষে রাজশাহীর হয়ে এই জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান।
রনির ইনিংসটি তার আগের ক্যারিয়ার সেরা ২২৭ পার হতেই ১ উইকেটে ৩৮৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা দেয় ঢাকা। ২৫২ বলে খেলা ২২৮ রানের ইনিংসে চার ১৮টি, ৭টি ছক্কা। প্রথম শ্রেনিতে নিজের শেষ ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা মাজিদ করেছেন ১৩২ রান। প্রথম ইনিংসে ৯৬ রানে পিছিয়ে থাকায় চট্টগ্রামের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৮২। সেই লক্ষ্যে ৩ উইকেটে ১৩৫ রান তুলে তৃতীয় দিন শেস করে তারা।
দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে দলের হয়ে একাই লড়ছেন এনামুল হক জুনিয়র। প্রথমে বল হাতে নেন ঢাকা মেট্রোর ৬ উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে ৯ রানের জন্য পাননি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। এরপরও তার দল ফলোয়ান এড়াতে পারেনি তার দল। প্রথম ইনিংসে করা মেট্রোর ৪২৬ রানের জবাবে ২১৫ রানে গুটিয়ে আবার দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাট করছে সিলেট, তৃতীয় দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান নিয়ে। এখনো তারা পিছিয়ে ৬২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা-রাজশাহী, রাজশাহী (স্তর ১)
খুলনা : ২১০/১০ ও ৫৩ ওভারে ১৮২/২ (তুষার ১০০ *, আনামুল ৭২ *, শফিউল ১/২০, ফরহাদ রেজা ১/৪০)।
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ১৪৭ ওভারে ৫৫২/১০ (জহুরুল ১৬৩ *, মিজানুর ১১৫, ফরহাদ হোসেন ৮৩, আফিফ ৭/৬৬, নাহিদুল ১/৫৪, আল আমিন ১/৯৫)।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট, সিলেট (স্তর ২)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস : ৪২৬
সিলেট : (দ্বিতীয় দিন শেষে ১৩২/৬) ৮২ ওভারে ২১৫ (শাহানুর ৩৪, এনামুল জুনিয়র ৯১; অনিক ৩/২৫, সানি ৪/৬২, আশরফুল ৩/৩৬) ও (ফলোঅনের পর) ৬১ ওভারে ১৪৯/৪ (জাকির ৭২, রাজিন ৫৩, কাপালী ৯*; শহিদুল ২/২২, আশরাফুল ০/২৩, সানি ১/৫৫, আসিফ ১/৩৪)।
রংপুর-বরিশাল, বগুড়া (স্তর ১)
রংপুর ১ম ইনিংস : ১৪৫.২ ওভারে ৫০২/১০ (আরিফুল ২৩১, নাঈম ৯২, জাহিদ ৬২, মনির ৩/১২৮, সোহাগ গাজী ৩/১৪৫, রাবি ২/৯৪)। বরিশাল ১ম ইনিংস : ১১৯.১ ওভারে ৩৮৪/৫ (নাফিস ২৪, আল মাহমুদ ৫৯, ফজল মাহমুদ ১৩০*, সোহাগ গাজী ১২৮; লিমন ২/৬৪, সুভাশিষ ১/৪০, শুভ ১/৭১)।
ঢাকা-চট্টগ্রাম, ফতুল্লা (স্তর ২)
ঢাকা : ২৩৮ ও (দ্বিতীয় দিন শেষে ১৭৬/০) ৯২ ওভারে ৩৮৫/১ ডিক্লে. (মজিদ ১৩২, রনি ২২৮*, জুবায়ের ১/৬৮, মুমিনুল ০/১১)। চট্টগ্রাম : ১৪২ ও (লক্ষ্য ৪৮২) ৩৯ ওভারে ১৩৫/৩ (সাদিকুর ২৪, মুমিনুল ৬২, তাসামুল ৩৩*; শাহাদাত ১/২৭, নাজমুল ১/২৬, শুভাগত ১/২৪)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।