২, ১, ২, ৬, ২, ০, ৯, ৩, ০, ০, ২- এগারো ডিজিটের এই টালি দেখে আবার কেউ মোবাইল নম্বর ভেবে বসবেন না যেন! এটি একটি ম্যাচের স্কোর কার্ড! মুঠোফোন নম্বর সদৃশ্য এই স্কোরটিই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে জন্ম দিয়েছে এক লজ্জার। শুধুমাত্র নিজেদের ক্রিকেটেই নয়, ৩০ রানে অলআউট হয়ে বিশ্ব নারী টি-২০ ক্রিকেটেই সর্বনি¤œ দলীয় সংগ্রহের লজ্জার রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। নারী দলকে এমন লজ্জা দিয়েছে বাংলাদেশ সফরে আসা পাকিস্তানের মেয়েরা। এর আগের রেকর্ডটিও ছিলো বাংলাদেশের দখলে। ২০১৪ সালে সিলেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৫৮ রান করে বাংলাদেশ।

বৃষ্টিতে আগের দিনের প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। মাঠ খেলার উপযোগী না থাকায় গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা দেড়েক পরে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৪ ওভারে। একপেশে ম্যাচটি ৫৮ রানে জিতেছে পাকিস্তান। ৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৭ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩০ রানে। এই জয়ে চার ম্যাচে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

রান তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি কেউ। গড়ে তুলতে পারেনি তেমন কোনো জুটি। দলীয় ৩ রানে ফিরেন দুই ওপেনার। ১৩ রানের মধ্যে সাজঘরের ফিরেন পাঁচ ব্যাটার। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। দুই অঙ্কে যেতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ৯ রান আসে রুমানা আহমেদের ব্যাট থেকে। ৩ ওভার বোলিং করে কোনো রান দেননি আনাম আমিন। ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দুটি করে উইকেট নেন নিদা দার, নাশরা সান্ধু ও আইমান আনোয়ার।

এর আগে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যুর অ্যাকাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আয়েশা জাফরকে হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে জাভেরিয়া খানের সঙ্গে ৪১ রানের জুটিতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন নাহিদা খান। দলে ফেরা লতা মÐলকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় অধিনায়ক জাভেরিয়ার ১৮ বলে খেলা ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। ওপেনার নাহিদা খান ১৮ রান করে নাহিদা আক্তারের বলে ধরা পড়েন আয়েশা রহমানের হাতে। মঞ্চ প্রস্তুত থাকলেও শেষটায় প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি পাকিস্তানের কেউ। মুনিবা আলি, আলিয়া রিয়াজ, সানা মিরদের ছোট ছোট অবদানে ৫ উইকেটে ৮৮ রানের সংগ্রহ গড়ে অতিথিরা। বাংলাদেশের নাহিদা ২ উইকেট নেন ১৯ রানে।

আগামীকাল একই ভেন্যুতে হবে ৪ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। শেষ দুটি ম্যাচ নিজেদের করে নিয়ে এখনো সিরিজ জয়ের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে।