Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করুন

| প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে মানুষ। এভাবে সড়ক দুর্ঘটনা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০ বছরে সড়ক দুর্ঘটনার হার দ্বিগুণ হতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মারা যায় প্রায় ১২ হাজার মানুষ। ঈদের মতো দীর্ঘদিনের ছুটির শুরুতে যাত্রীদের বাড়ি যাওয়ার সময় সড়কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে রকম নজরদারি থাকে, ফিরতি পথে তেমনটি থাকে না। আর সড়ক-মহাসড়কও থাকে ফাঁকা। এ সুযোগে চালকরা বাড়তি ট্রিপ দিতে তীব্র বেগে গাড়ি চালায়। ঈদ সামনে রেখে লক্কড়ঝক্কড়, অচল যানবাহনকে রং লাগিয়ে যেনতেন মেরামত করে রাস্তায় নামানো হয়।
অদক্ষ, লাইসেন্সবিহীন চালক, এমনকি তাদের হেলপার বেপরোয়াভাবে ট্রাফিক নিয়ম-কানুন না মেনে গাড়ি চালায় এবং দুর্ঘটনা ঘটায়। চালকের মধ্যে অনেকেই মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে তাদের মনোযোগ থাকে না। আর এসব কারণেই মূলত দুর্ঘটনার হার বেড়ে যায়। দুর্ঘটনা রোধ করতে যানবাহনের নিয়মিত ফিটনেস পরীক্ষার দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গাড়িচালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন অত্যাবশ্যক।
মহাসড়কে অনুমোদিত গতিবেগের ঊর্ধ্বে যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং ফিটনেসবিহীন, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। মহাসড়কে স্পিড ইন্ডিকেটর স্থাপনসহ ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে। ছুটির দিনগুলোতে মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে। বাস মালিকরা অধিক মুনফা লাভের আশায় বেশি ট্রিপ দিতে চান। ফলে মহাসড়কে চলে ওভারটেকিংয়ের অশুভ প্রতিযোগিতা। এ ধরনের প্রবণতা বন্ধ করতে উৎসবের ছুটিতে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহল বাড়ানো দরকার।
মুসাহিদ উদ্দিন আহমদ
পশ্চিম মালিবাগ, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক দুর্ঘটনা


আরও
আরও পড়ুন