বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তিনি নিকটাত্মীয়। বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়াতেন। টাকা-পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করতেন। আর তাকেই খুন করে লাশ গুম করা হলো। পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় ব্যবসায়ী মো. সাঈদ হোসেনকে (৩৫)। খুনের আট দিন পর মাটি খুঁড়ে তার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাঈদের চাচাতো বোনের স্বামীসহ তিনজনকে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
নির্মম খুনের শিকার সাঈদ নগরীর লালখান বাজারের ম্যাগনিফিসেন্ট হিল সাইড আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি নিখোঁজ হন। বুধবার রাতে নগরীর ইপিজেড থানার নিউমুরিং বোবা কলোনী এলাকা থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাঈদের দুই চাচাত বোনের স্বামী ইরফান ও জিকু এবং ইরফানের বড় ভাই আরমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইপিজেড থানার ওসি মীর নুরুল হুদা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সাঈদ ইরফানের চাচাতো বোনের জামাই। তার সাথে লেনদেন ছিল সাঈদের। এর জের ধরে তাকে খুন করা হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইরফান সাঈদকে তার লালখান বাজারের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর ইপিজেড থানায় সাঈদের স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলার পর মঙ্গলবার রাতে ওই তিনজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেখানো মতে, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ইপিজেড থানার এসআই মো. আশরাফ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি সাঈদ ইরফান ও জিকুকে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু টাকা ধার দিয়েছিল। টাকা পরিশোধ না করতে মূলত এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। নিকটাত্মীয় হওয়ায় ইরফান ও তার বোনকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার দিতেন। এমনকি নিজের টাকা দিয়ে ইরফানকে একটি মোটর সাইকেলও কিনে দেন। যে ভবনের পাশ থেকে সাঈদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি ইরফানের বড় বোনের, যেটির দেখাশোনা করতেন ইরফান।
নিহতের স্ত্রী ফরিদা আক্তার জানান, ইরফান ও আরমান পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে সাঈদকে ডেকে নেয়। ওইদিন থেকে নিখোঁজ, এরপর থানায় জিডি করি। কিন্তু স্বামীকে জীবিত ফিরে পেলাম না। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর ইরফান উদ্দিন কবির (২৬), আরমান কবির (২৪), সুরাইয়া বেগম হিনা (২৩), নাজমুন নাহার (৪৫), মোহাম্মদ জিকু (২২) ও পিয়া আকতারের (১৮) বিরুদ্ধে ইপিজেডে থানায় জিডি করেন নিহতের স্ত্রী ফরিদা আক্তার। লাশ উদ্ধার করার পর তাদের নামে মামলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।