রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের চাঞ্চল্যকর ইউছুফ হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বাদী পক্ষ। এদিকে, বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে মামলায় স্বাক্ষ্য গ্রহণ করছেন জেলা জজ আদালত। গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী আব্দুস সাত্তার গাজী আদালতে স্বাক্ষ্যও দিয়েছেন। তিনি সাতক্ষীর্রা কালিগঞ্জ উপজেলার মুড়াগাছা গ্রামের মোহর আলী গাজীর ছেলে।
বাদী আব্দুস সাত্তার গাজী জানান, ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আসামী রহিমা বেগমের বাড়ীতে দাওয়াত খেতে যায় তার ভাই ইউছুফ। রহিমার জামাই কালিগঞ্জের মুড়াগাছা গ্রামের মানিক সরদারের ছেলে জালাল উদ্দীন ইউছুফকে সন্ধ্যা বেলা বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ইউছুফ আলী নিখোঁজ থাকে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ১৪ সেপ্টেম্বর শ্যামনগরের চুনা নদীতে বস্তায় ভরা পঁচা, ফুলে ফেপে যাওয়া ইউছুফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এব্যাপারে শ্যামনগর থানায় মামলা হয়। মামলা নং-১৫। তারিখ-১৪-০৯-২০১৩। ধারা ৩০২/৩৪/২০১ পেনাল কোড। মামলায় আসামী করা হয় শ্যামনগর উপজেলার গুমানতলী গ্রামের অমেদ আলী গাজীর ছেলে মোমিন গাজী , স্ত্রী রহিমা বেগম ওরফে মুন্নী ও কালিগঞ্জের মুড়াগাছা গ্রামের জালাল উদ্দীন গাজীসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন।
বাদী আরো জানান, মামলা দায়েরের কয়েকমাস পর ২০১৪ সালের ১৯ আগষ্ট সাতক্ষীরা আদালত থেকে বিকালে বের হলে আসামীরাসহ কয়েকজন ছুরি, ইট ও লোহার রড দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে তিনি মারাত্মক জখম হন। এব্যাপারে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা করেন বাদী। মামলা নং-সি,আর,পি ৩৪৭/১৪ (সাতঃ)।
বাদী পক্ষের আইনজীবি জহুরুল হক জানান, সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার চলছে। আশা করি মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।