পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বিদায়ী সপ্তাহের প্রধান খবর ছিল বিভিন্ন নদ-নদীতে ভাঙ্গন। বিশেষত পদ্মার অব্যাহত ভাঙ্গন সমন্ধে দৈনিক ইনকিলাব এর গত রবিবারের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটা খবরের শিরোনাম ছিল : ‘পদ্মায় অব্যাহত ভাঙ্গন : পূর্বাভাস ছিল কিন্তু করা হয়নি কিছুই’। এটা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। আমরা জানি নদী ভাঙ্গন একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় এ বিপর্যয় রোধ করা যায় না। কিন্তু ইচ্ছা বা আন্তরিক চেষ্টা না থাকাটা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতারই শামিল।
এ বছর জাতীয় নির্বাচন হবার কথা বংলাদেশে। নিয়মিত ব্যবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠান যে কোন দেশে গণতন্ত্র কতটা স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে, তার প্রমাণ বহন করে। তবে তার জন্য অপরিহার্য শর্ত হলো নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হতে হবে এবং তাতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের সমান অংশ গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। অতীতে সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একবার একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুয়ের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা সেই সামরিক ক্যুয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সারা দুনিয়াকে অবাক করে দেন। তাঁর এই অবাক করা ভূমিকার কারণ সম্ভবত এই ছিল যে, সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত সেই নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে কোন দলের প্রতিপক্ষকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে আওয়ামী লীগ-নেত্রী সেদিন গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর আস্থার প্রমাণ দিতে পারেননি।
সংবাদপত্রের পাঠকরা জানেন, জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বে পরিচালিত ঐ সামরিক ক্যুর পর দেশে দীর্ঘদিন জেনারেল এরশাদের স্বৈরশাসন চলতে থাকে। পাশাপাশি চলতে থাকে বিএনপিও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন। আওয়ামী লীগ প্রথম দিকে দীর্ঘদিন এসব আন্দোলন দূরে থাকলেও পরে এক পর্যায়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়। কিন্তু ততদিনে রাজনীতিতে তুলনামূলকভাবে নবাগতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে একটানা নেতৃত্ব দিয়ে আপোষহীন নেত্রী হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এর প্রমাণ মেলে পরবর্তী নির্বাচনে।
দীর্ঘদিন স্বৈরশাসন এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চলার পর এক পর্যায়ে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্ন একমত হয়। নির্বাচন যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, সে লক্ষ্যে দুই দল দেশের সুপ্রীম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নেও একমত হয়।
যেমনটা আশা করা দিয়েছিল, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতাকালে এক পর্যায়ে বলেন, আমি সব জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, কেউ যেন ভোটে হেরে গিয়ে এর মধ্যে আবার কারচুপি আবিষ্কার না করে। ভোট গণনা শেষে যখন জানা গেল, আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচনে জয়ী হয়েছে, বিএনপি, অবলীলাক্রমে তিনি বলে ফেললেন, নির্বাচনে সূ² কারচুপি হয়েছে।
অবশ্য তাঁর এই স্ববিরোধী বক্তব্যের প্রতি সংশ্লিষ্ট কেউ গুরুত্ব না দেয়ায় স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচিত হয় নতুন সরকার এবং শেখ হাসিনা হলেন সংসদে বিরোধী দলের নেত্রী। সংসদের মেয়াদ শেষে নতুন নির্বাচনের প্রশ্ন উঠলে প্রধানত শেখ হাসিনার দাবীর মুখেই দেশের সকল জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এই বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন করা হয়।
বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থাই যে গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক তা বাস্তবে প্রমাণিত হয়। পরপর বেশ কতগুলো নির্বাচন এই ব্যবস্থাধীনে অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে পালাক্রমে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ লাভ করে। কিন্তু কিছু ক্ষমতা লোভী রাজনীতিকের অতিরিক্ত ক্ষমতা ক্ষুধা এই সুন্দর ব্যবস্থাটিকেও সে পর্যন্ত পচিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার প্রধান মন্ত্রীত্বের আমলে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবর্তে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা প্রবর্ত করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দান করা হয়।
এই ঘোষণাকে অতীতে দেশের দুই প্রধান দলের মধ্যকার সমঝোতার সুস্পষ্ট লংঘন অভিহিত করে এই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয় বিএনপি। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিলে এ নির্বাচন হয়ে দাঁড়ায় একটি প্রহসন। বিরোধী দলের কোন নেতাকর্মী তো দূরের কথা, সরকারী দলের অনেক নেতাকর্মীও ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার গরজ অনুভব করেননি। কারণ তারাও জানতেন বিরোধী দলের বয়কটকৃত এ নির্বাচনী প্রহসনে ভোট দানের জন্য প্রয়োজনীয় নেতাকর্মীর ব্যবস্থা সরকারী দলের পক্ষ থেকেই করা হবে।
কার্যত হয়ও সেটাই। শাসক দলের পক্ষ থেকে অল্পসংখ্যক নেতাকর্মীই এক এক ভোট দান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে শাসক দলের প্রার্থীদের ব্যালটপত্রে ইচ্ছামত সিল মেরে সরকারী দলের প্রার্থীদের পক্ষে অকল্পনীয় সংখ্যায় ভোট প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন। এভাবে ভোটারবিহীন ফাঁকা ভোট কেন্দ্রে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু পরদিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে এসব নির্বাচনের সচিত্র প্রতিবেদনে ভোট দানের নির্দিষ্ট সময়ে ভোট কেন্দ্রসমূহের ফাঁকা জনশূণ্য চিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ায় জনমনের কাছে এই ভোটারবিহীন নির্বাচনের আসল স্বরূপ প্রকাশ হয়ে পড়ে। তারা তাই এই নির্বাচনের নাম দেয় ভোটারবিহীন নির্বাচন।
বর্তমানে বাংলাদেশ শাসন করছে যে সরকার সেটা এই ভোটারবিহীন নির্বাচনেরই ফসল। দু:খের ও বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, এই ভোটারবিহীন নির্বাচনের ফসল হওয়ার পরও বর্তমান সরকারের নেতৃবৃন্দের মনে সামান্য একটু লজ্জাবোধ নেই। সংসদে ভাষণ দানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করে এক হিসাবে ভালই করেছে। সংসদে তাদের খিস্তিখেউর শুনতে হচ্ছে না। বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যকে যারা খিস্তিখেউর বলে মনে করেন তারা যে আদৌ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না সেকথা বলাই বাহুল্য।
দোষেগুণে মানুষ বলে একটা কথা আছে। মানুষের যেমন ভাল কাজের ক্ষমতা আছে, তেমনি আছে মন্দ কাজের ক্ষমতা। মানুষের ভাল কাজের জন্য যেমন তার প্রশংসা করে ভাল কাজকে উৎসাহিত করা যায়, তেমনি তার ক্ষতিকর কাজের সমালোচনা করে তার সে কাজকে নিরুৎসাহিত করা যায়। এই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি কাজই তার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে ইতিবাচক হতে পারে। এই জন্যই দেশে ও সমাজে গণতন্ত্র অপরিহার্য প্রয়োজন। যেহেতু মানুষ ফেরেশতা নয়, আবার ইবলিশও নয়, তার জন্য গণতন্ত্র অপরিহার্য প্রয়োজন।
তবে গণতন্ত্রের গুরুত্ব তারাই অনুভব করতে পারবেন যারা নিজেদের মধ্যে ভাল মন্দ উভয় ধরনের উপাদান থাকার সম্ভাবনায় বিশ্বাসী। যারা মনে করেন তাদের মধ্যে যে ভাল দিক আছে, তা বাড়িয়ে তোলা, এবং মন্দ দিক আছে তা থেকে নিজেকে মুক্ত করা তাদের কর্তব্য। কিন্তুু কেউ যদি মনে করেন তিনি সর্বপ্রকার ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে, তার মনে হতে পারে তিনি ছলে বলে কৌশলে যতদিন দেশের নেতৃত্বে থাকবেন ততদিন দেশ ভাল থাকবে জনগণ তাকে পছন্দ করুক না করুক, তাতে কিছুই আসে যায় না।
বর্তমানে যে সরকার দেশ শাসন করছে। সে সরকার যে একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের সরকার সে কথা আগেই বলা হয়েছে কিন্তু তা সত্তেও তাদের বাস্তব আচরণ দেখে মনে হয়, এরা যে কোনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে আগ্রহী। অবশ্য তারা ক্ষমতায় আসেনও একই পন্থায়। এই কথাটা কেন বললাম তার কারণ বুঝতে হলে আমাদের একটু অতীতের কথা স্মরণ করতে হয়। পাঠকদের স্মরণ থাকার কথা দেশের প্রধান দুই নেত্রীকে অতীতে এক পর্যায়ে অসাংবিধানিক শক্তির উদ্যোগ সংসদ প্রাঙ্গনের নিকটে দুটি ভবনে আটক রাখা হয়েছিল এক শ্রেণীর সংস্কারবাদী নামধারীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার লক্ষ্যে। দেশের দুই প্রধান দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রবল বিরোধিতার কারণে সে চেষ্টা সফল হয়নি। সে সময় শেখ হাসিনা জানান, তিনি যদি ক্ষমতায় দায় যেতে পারেন তাহলে বর্তমানের (অর্থাৎ তৎকালীন) অসাংবিধানিক শক্তিকে তাদের সকল অসাংবিধানিক কাজের দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে দিবেন। এরপরই যে নির্বাচন হয়, তাতে তিনি ক্ষমতায় আসেন।
আবারো আমরা গণতন্ত্রের সঙ্গে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের প্রশ্নে ফিরে যাই। দেশে যে এমন বহু লোক আছে এবং এমন বহু সংস্থা আছে, যারা দেশে গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা লাভ করুক তা চায় না। তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব কিন্তু তাতে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয়। গত রবিবার দৈনিক ইত্তেফাকে প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ছিল : ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর পাঁচজন নিখোঁজ। এটা নি:সন্দেহে দেশে গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতার পরিচায়ক নয়। বর্তমান সরকারের দুই নম্বর নেতা, জনাব ওবায়দুল কাদের বলেছেন : জোর করে ক্ষমতায় থাকার অভ্যাস আ.লীগের নেই। জোর করে নয়, কৌশল খাটিয়ে যে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকতে অভ্যস্ত, তার কথা একটু আগেই বলা হয়েছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের বিরোধিতা সত্তে¡ও সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে এই অনাকাংঙ্খিত কৌশলের প্রমাণ মিলছে।
শুধু আওয়ামী লীগ নয়, তার প্রভাবিত অন্যান্য ফ্রণ্টের মধ্যেও একই মনোভাব সুস্পষ্ট হয়েছে। হ্যাঁ, আমরা এখানে ডাকসু নির্বাচনের কথাই বলতে চায়ছি। দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচনের কথা উঠেছে। সকল ছাত্র সংগঠন যত দ্রুত সম্ভব ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে শুধু ছাত্র লীগ ছাড়া। এটা তাদের গণতন্ত্রের প্রিয়তার প্রমাণ বহন করেনা।
আর একটি প্রসঙ্গ আলোচনা করেই আজকের লেখার ইতি টানতে চাই। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহার করতে পারবে ভারত। এই বিষয়ে একটি খসড়া অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আমরাও পক্ষপাতী। কিন্তু তিস্তাচুক্তিও এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যেকারী ব্যাপার। সে ব্যাপারে এত বছরেও কিছু হচ্ছে না কেন সে প্রশ্ন উঠতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। আওয়ামী লীগকে যে অনেকে ভারত ঘেঁষা দল বলে, তার নতুনতর প্রমাণ চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারে ভারতকে সুযোগ দিতে রাজী হওয়া।
আওয়ামী লীগকে ভারত ঘেঁষা দল হিসাবে উল্লেখ করতে কেউ হয়ত মনে করতে পারেন, ভারতের ভাল মন্দ উভয় দিকই বুঝি আওয়ামী লীগের পছন্দ। কিন্তু ভারত যে ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’ বলে অভিহিত হয়ে থাকে তার কারণ ভারতে গণতন্ত্র সব সময়ই ক্রিয়াশীল এবং ভারতের একটা দলীয় সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সে দেশের যে কোন বিরোধী দল জনগণের সমর্থনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হতে পারে। অথচ এমনটা আওয়ামী শাসনাধীন বাংলাদেশে কল্পনা করাও সম্ভব নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।