পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে রাজবাড়ীর পদ্মায়। এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদার বাজার এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক দ্বারা নির্মিত অন্তত দু’ শ’ মিটার। সরিয়ে নিতে হয়েছে ১০টি বসতবাড়ি। আর মাত্র ৮ থেকে ১০ মিটার ভাঙলেই ভাঙবে রাজবাড়ী শহর রক্ষাবাঁধ। এখনও ভাঙন ঝুঁকিতে শত শত বসতবাড়ি, মসজিদ, বিদ্যালয়সহ বহু স্থাপনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, মাত্র দু’ মাস আগে শেষ হয়েছে সিসি ব্লক দ্বারা নির্মিত শহর রক্ষা বাঁধের স্থায়ী পাইলিংয়ের কাজ। ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে কাজটি সমাপ্ত করে খুলনা শিপইয়ার্ড নামের একটি কোম্পানি। কাজটি শেষ হওয়ার পর গত দু’ মাসে পাঁচটি পয়েন্টে দেখা দেয় ভাঙন।
গতকাল সকালে গোদার বাজার এলাকার বাসিন্দা হারুন মৌলবী বলেন, অপরিকল্পিত কাজ আর ফাঁকিবাজির কারণে বার বার দেখা দিেেচ্ছ এ ভাঙন। এ দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না পাউবো। কর্মকর্তারা শুধু ফাইল পাস আর নয় ছয় নিয়ে ব্যস্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। হাসিনা বেগম নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যার আগে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে এতে আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন তারা। কোনক্রমে শেষ সম্বল বাঁচিয়ে শহর রক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। এখন বাঁধও চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে নদীর পেটে। বাঁধ ভেঙে গেলে চরম মূল্য দিতে হবে রাজবাড়ী শহরবাসীকে।
পাউবো রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ ৩৭৬ কোটি টাকার কাজে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। যে কারণে বার বার ভাঙন দেখা দিচ্ছে। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। তাছাড়া জিও টিউবও ফেলা হবে, যাতে করে শহর রক্ষা বাঁধকে রক্ষা করা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।