বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন না করায় আদালত অবমাননার মামলা হওয়ার পর ক্যাম্পাসে ‘সক্রিয়’ ছাত্রসংগঠনগুলোকে চিঠি দিয়ে আলোচনায় ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ রোববাার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিসি প্রফেসর মো. আখতারুজ্জামানের কার্যালয় সংলগ্ন পুরাতন সিনেট কক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদের এই সভা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল ও অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ঢাবি সাদাদল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সংগঠনের একটি শীর্ষ প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর আখতারুজ্জামানের সাথে দেখা করে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। গতকাল (শনিবার) দুপুর দেড়টার দিকে ভিসির সাথে দেখা করেন ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, যুগ্ম
আহ্বায়ক প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান ও প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও প্রফেসর আবুল কালাম সরকার। পরে প্রফেসর ওবায়দুল ইসলাম জানান, কালকে (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। যেখানে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল সহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সহাবস্থান না থাকার কারণে অবস্থান করতে পারেনা। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলসম‚হে ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের আধিপত্য। এমতাবস্থায় কালকের (আজ) সভায় ছাত্রদলের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নিলে তাদের নিরাপত্তা কী হবে তা পরিষ্কার নয়। তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে আনা এবং বের করা হবে কি না সে বিষয়েও স্পষ্ট হওয়া দরকার। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে ছাত্রলীগ কালকের সভায় ছাত্রদলের কেউ অংশ নিলে আক্রমণ বা হামলা করতে পারে। এমতাবস্থায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে উদ্বিগ্ন। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি প্রফেসর আখতারুজ্জামানকে উদ্বেগের বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে কালকের সভার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভিসি সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ড. ওবায়দুল ইসলাম।
জানা যায়, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরের বছর যাত্রা শুরু করে ডাকসু। সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৬ জুন ডাকসু নির্বাচনের পর বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সে নির্বাচন আর হয়নি। ছয় বছর আগের একটি রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি এক রায়ে হাইকোর্ট ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু সাত মাসেও নির্বাচনের কোনো আয়োজন দৃশ্যমান না হওয়ায় গত ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিশ পাঠান রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার জবাব না পেয়ে গত বুধবার তিনি হাই কোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন ভিসি সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
আগামীকাল রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চে মামলাটির শুনানির জন্য উঠতে পারে বলে মনজিল মোরসেদ জানিয়েছেন। এদিকে ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ পরিষদের সভায় আহ্বান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বুধবার ও বৃহস্পতিবার ছাত্র-সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বরাবরে পৌঁছে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।