Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাবির ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

আদালতের নির্দেশ থাকা সত্তে¡ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.মোঃ আক্তারুজ্জামানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে। অন্য দুইজন হলেন-প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন। বুধবার হাইকোর্টের সংলিশ্ট শাখায় রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই মামলা দায়ের করেন। আগামী রোববার বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্তে¡ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়। এতে আরো বলা হয়, আগামী ৭দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে উক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে হাইকার্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়। এছাড়া ডাকসু নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন। নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জনের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ দেন ওই আইনজীবী। নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় ওই বছরই ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালের ২৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ডাকসু নির্বাচনের পর এর সময়সীমা হবে এক বছর। পরে ৩ মাস নির্বাচন না হলে বিদ্যমান কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্তের পর ডাকসু ভেঙে দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ